Death

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে মৃতদেহ ফেলে চম্পট, হরিহরপাড়ায় দেহ আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মিনারুলের সঙ্গে ওই পাড়ারই একটি পরিবারের বিরোধ শুরু হয়। তাঁরাই মিনারুলকে ডেকে নিয়ে যায় বুধবার রাতে এবং তাঁকে খুন করে, এমনই দাবি পরিবারের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০১:০৫
Share:

মিনারুলের মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। —নিজস্ব চিত্র।

বৃহস্পতিবার সকালে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে একটি দেহ ফেলে রেখে চম্পট দিয়েছিল একটি সাদা চারচাকা গাড়ি। মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। উঠতে শুরু করে একাধিক প্রশ্ন। পরে জানা যায়, দেহটি গ্রামেরই বাসিন্দা মিনারুল ইসলামের। মৃতের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে মিনারুলকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া। ময়নাতদন্তের পরে হরিহরপাড়া থানার সামনের রাস্তায় মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, খুনিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত চলবে বিক্ষোভ।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মিনারুলের সঙ্গে ওই পাড়ারই একটি পরিবারের বিরোধ শুরু হয়। তাঁরাই মিনারুলকে ডেকে নিয়ে যায় বুধবার রাতে এবং তাঁকে খুন করে, এমনই দাবি পরিবারের। তাঁদের আরও দাবি, এর আগেও সেই পরিবারের তরফ থেকে মিনারুলকে একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকেই দীর্ঘ দিন ধরে ঘরছাড়া মিনারুলের পরিবার। একই সঙ্গে খোঁজ নেই মিনারুলের ছেলেরও।

বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিহরপাড়া থানার আইসি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। মিনারুলের এক আত্মীয় বলেন, “খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে এবং নিঁখোজ ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তবেই বিক্ষোভ উঠবে।” পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হলে শেষমেশ গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।

Advertisement

পড়শিদের দাবি, কয়েক মাস আগে মিনারুলের ছেলের বিরুদ্ধে এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ দিন ধরেই মেয়ের বাড়ির লোক হুমকি দেন মিনারুলকে মেরে ফেলার। মামলাও চলছিল তাঁদের নামে। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে ঘরছাড়া ছিল মিনারুলের পরিবার। মিনারুল পেশায় ছিলেন গাড়ির চালক। ফলে বাড়ির বাইরেই বেশি সময় কাটাতেন। পুলিশও প্রাথমিক ভাবে এটিকে খুনের ঘটনা বলেই মনে করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement