—প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির দেহ। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে। কী ভাবে মারা গেলেন ওই ব্যক্তি? কে বা কারা ওই ব্যক্তিকে ফেলে গেলেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে, উঠছে এ সব প্রশ্ন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিহরপাড়ার থানার অন্তর্গত চোঁয়া গ্রামের বাসিন্দা মিনারুল ইসলামের দেহ রেখে চম্পট একটি সাদা চারচাকা গাড়ি। পড়শিদের দাবি, কয়েক মাস আগে মিনারুলের ছেলের বিরুদ্ধে এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ দিন ধরে মেয়ের বাড়ির লোক হুমকি দেন মিনারুলকে মেরে ফেলার। মামলাও চলছিল তাঁদের নামে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঘর ছাড়া ছিল মিনারুলের পরিবার। মিনারুল পেশায় ছিলেন গাড়ির চালক। ফলে বাড়ির বাইরেই বেশি সময় কাটাতেন। পুলিশও প্রাথমিক ভাবে এটিকে খুনের ঘটনা বলেই মনে করছে।
চিকিৎসকের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মিনারুলের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘দেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করা গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’