জল নেওয়ার ভিড় লালনগরে। নিজস্ব চিত্র।
তীব্র জলকষ্টে ভুগছেন হরিহরপাড়ার হুমাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপডাঙা বাদে আশেপাশের বহু গ্রামে গত প্রায় দু’ মাস ধরে জলকষ্ট দেখা দিয়েছে। গত দু’-তিন বছর ধরে গ্রীষ্মকালে লালনগর, হুমাইপুর, গঙ্গানারায়ণপুর সহ একাধিক গ্রামে জলকষ্ট দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এলাকার পুকুরে জল নেই। টিউবওয়েলে জল উঠছে না।
বিস্তীর্ণ এলাকায় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের তরফে জলের পাইপলাইন পৌঁছলেও কলে জল মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গ্রামের বহু বাড়িতে বৈদ্যুতিক পাম্পসেট চালিয়ে জল উঠছে না। গ্রামের গুটিকয়েক অবস্থাসম্পন্ন মানুষ সাবমার্সিবল বসিয়ে জল তুলছেন।
গ্রামের অনেকে সেই সমস্ত বাড়িতে জলের জন্য ভিড় করছেন।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, সম্প্রতি প্রশাসনের উদ্যোগে এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। দুপুরের পর দু’টি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে ট্যাঙ্ক বসিয়ে জল ভর্তি করে বিভিন্ন পাড়ায় যাচ্ছে।
গ্রামের বাসিন্দারা জল নেওয়ার জন্য ভিড় করছেন। লাইন দিয়ে পানীয়জল সংগ্রহ করছেন স্থানীয়রা। প্রশাসনের উদ্যোগে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হলেও স্নান সহ নিত্যনৈমিত্তিক কাজের জন্য জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে লালনগর গ্রামের বাসিন্দা সাবির হোসেন বলেন, “গ্রামের কোনও পুকুরে জল নেই। টিউবওয়েল তো দূরের কথা পাম্পসেট চালিয়ে জল উঠছে না।
জল কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ্য অধিকাংশ মানুষের নেই। গ্রামের কিছু মানুষ সাবমার্সিবল বসিয়ে জল তুলছেন। গ্রামের অনেক মানুষের ভরসা সেই সমস্ত সাবমার্সিবল।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালনগর, গঙ্গানারায়ণপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিল ভান্ডারদহ। বিল ভান্ডারদহেও জল কমেছে।
তবে, অধিকাংশ গ্রামের মানুষ স্নান, কাপড় কাচা, গবাদিপশুর স্নান বা গবাদিপশুর খাবার জল হিসেবে ব্যবহার করছেন বিলের কালো জল।
হুমাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আরদোসা খাতুন বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে গ্রীষ্মকালে বেশ কয়েকটি গ্রামে এরকম জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রাত্যহিক কাজের জন্য এলাকার অনেক মানুষ বিলের জল ব্যবহার করছেন। পাইপলাইনের জলের গতি কম।’’