ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র আগে গোলাপ বিক্রি। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
গোলাপ গাছের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। গাছ দুর্বল হয়ে যাছে। ফুলের কুঁড়িগুলি ঝুঁকে যাচ্ছে। আকারে ছোট হয়ে যাচ্ছে। কিছু কুঁড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে। ঝরে যাচ্ছে। ফুল চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন। সম্প্রতি তাই রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের ওই এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিকেরা।
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমদিবস বা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ র জন্য প্রতিবছর এই সময় গোলাপ ব্যবসায়ীরা একটু বেশি লাভের আশা করেন। এ বার লাভ দূরের কথা, পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে চাষের খরচ ওঠা মুশকিল হবে বলে মনে করছেন চাষীরা। তাঁদের অভিযোগ, সব কিছু জানা সত্ত্বেও সরকারি তরফে কেউ কিছু করছে না।
রানাঘাট মহকুমা উদ্যানপালন আধিকারিক মৌ রায় বলেন, “বুধবার এলাকার চাষিদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। বৃহস্পতিবারই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আমাদের আধিকারিকেরা। আবহাওয়ার কারণে এমন হচ্ছে। চাষিদের কি করতে হবে, তা জানানো হয়েছে।”
রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু চাষি বিকল্প হিসাবে ফুলের চাষ শুরু করেছিলেন। ফুল চাষি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, রাজ্জাক মণ্ডলেরা বলেন, “যাঁদের এক হাজার ফুল হওয়ার কথা তাঁদের খুব বেশি হলে দু’শো ফুল হচ্ছে। তাতে খরচ উঠবে না।” শিমুরালি বাজারের এক ফুল বিক্রেতা নারায়ণ দস বলেন, “ফুল বাজারে গোলাপ ফুল এখন সে ভাবে বিক্রি হচ্ছে না। একটি ফুল কমবেশি দশ টাকা দিয়ে আমাদের কিনতে হবে। সেটা বিক্রি হবে কিনা বুঝতে পারছি না। ফুল ভাল হচ্ছে না। তাই আমি সাহস করে খুব বেশি গোলাপ আনিনি।”