valentine's day

করোনার ভয়ে দাম বেড়েছে সব উপহারের

এমন দিনে যখন দোকান ভরে থাকে ক্রেতার ভিড়ে, সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল ফাঁকাই পড়ে রয়েছে রাস্তা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৪০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

শুধু গোলাপ নয়, রোজ ডে কিংবা ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে নানা রকম জিনিসপত্রই উপহার দেওয়া নেওয়া হয়। কিন্তু এ বার চিনের করোনা ভাইরাসের প্রকোপ পড়েছে তার উপরে। বহরমপুরে বিভিন্ন দোকানে গত বছরের তুলনায় এ বছর উপহারের দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। যেমন, ‘কাপল্ শো-পিস’-এর দাম গত বছর যেখানে ছিল ৮০০ টাকা, এ বছর সেই দাম পৌঁচেছে ১ হাজার ৫০ টাকায়। ‘লাভ কাপ’-এর দাম যেখানে গত বছর ছিল ২৫০ টাকা, এ বছর বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৫০ টাকা। বড় টেডি বিয়ারের দাম ১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। ভালবাসার উপহারের দাম বৃদ্ধির ফলে কপালে ভাঁজ পড়েছে জেলার ব্যবসায়ীদের। বহরমপুরের গোরাবাজারের একটি দোকানের মালিক বিপ্লব দাসের কথায়, ‘‘এ বছরের মন্দার বাজারে প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল। করোনা ভাইরাসের দাপটে হরেক রকেমের উপহার এবছর আসেইনি। যাও বা এসেছে তাও দাম বেশির ফলে ক্রেতারা কিনছেন না।’’

Advertisement

তাই এমন দিনে যখন দোকান ভরে থাকে ক্রেতার ভিড়ে, সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল ফাঁকাই পড়ে রয়েছে রাস্তা। দোকানের বাইরে রাস্তার ধারে রাখা টেডি বিয়ার। কেউ কিনতে আসছে না। অনেক সময় নানা খেলনা বা ভিডিয়ো গেমস-ও বিক্রি হয় এমন সব দিনে। সে সবও কেউ কিনতে আসছেন না। ভয় সেই করোনা ভাইরাসের। এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, প্রধানত চিন থেকেই এই সব সামগ্রী আসে কলকাতায়। কলকাতা থেকে সে সব তাঁরা নিয়ে আসেন। কিন্তু কলকাতার ব্যবসায়ীরা এ বার চিনের কোনও পণ্যই নিতে চাইছেন না। তাই তাঁরাও পাচ্ছেন না। তবে তাঁর সংযোজন, ক্রেতারাও জানেন, চিন থেকে কী কী আসে। তাঁরাও সেই সব কিছু কিনতে চাইছেন না। তাই যে টুকু রয়েছে, তাতেও ধুলো পড়ছে।

বহরমপুরের বাসিন্দা মৌসুমি ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘আগের বার কত রকমের শো পিস ছিল। কত রঙের টেডি বিয়ারও ছিল। এ বছর সে সব কিছুই নেই।’’ পছন্দ মতো উপহার খুঁজে না পেয়ে ভেঙে পড়েছেন বহরমপুরের বাসিন্দা সুদেষ্ণা চক্রবর্তীও। তিনি বলেন,‘‘আট বছর পরে মনের মানুষটিকে আবার ফিরে পেয়েছি। কিন্তু উপহার দেওয়ার মতো কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। মনটা খারাপ হয়ে গেল।’’

Advertisement

ফুলের বাজারে কিন্তু দাম বেশ চড়া। সেখানে আবার তাই নকল প্লাস্টিকের ফুলও দিব্যি বিকোচ্ছে। ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার বেলডাঙায় কয়েকটি দোকানে দেখা গেল ফুলের চাহিদায় সমান তালে পাল্লা দিচ্ছে আসল-নকল। বেলডাঙায় ভাল গোলাপ প্রতিটি ৬০ টাকা। তবে ২০ টাকার গোলাপও রয়েছে। দোকানে রয়েছে ৬০ টাকার হলুদ রঙের গোলাপও। জেলা উদ্দ্যানপালন দফতরের জেলার এক আধিকারিক গৌতম রায় বলেন, “আমাদের জেলায় গোলাপের চাষ সেভাবে হয় না। তাই গোলাপ বাইরে থেকেই আসে।” তাতেই দাম চড়ছে।

পাশেই প্লাস্টিকের গোলাপও বিক্রি হচ্ছে। কোনওটির দাম ৩০ টাকা, কোনওটি ৪০ টাকা। তবে ‘আসল’ হালকা হলুদ, গাঢ় গোলাপী, টকটকে লাল মিনি কুইনের কদরই বেশি। ফুলের দোকানে দাঁড়িয়ে এক কলেজ ছাত্রী বললেন, “পাঁচ টাকার গোলাপ ২০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আসল গোলাপই কিনব। তার কোনও বিকল্প হয় না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement