তদন্তে নামল সিআইডি
crime

জাল নথিতে জামিনে মুক্ত খুনের আসামি

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল ভরতপুর থানার হরিশ্চন্দ্রপুরে আশরফ শেখ নামে এক যুবককে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ উঠেছিল লালু শেখের বিরুদ্ধে।

Advertisement

কৌশিক সাহা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতির নির্দেশ সংক্রান্ত ভুয়ো জামিনের নথি দেখিয়ে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর কান্দি আদালতে সরকারপক্ষের আইনজীবী বিষয়টি জানতে পারেন। হাই কোর্টের নির্দেশে, ওই জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। বুধবার সিআইডির একটি দল কান্দিতে এ নিয়ে তদন্ত করতে এসেছে।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল ভরতপুর থানার হরিশ্চন্দ্রপুরে আশরফ শেখ নামে এক যুবককে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ উঠেছিল লালু শেখের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর গ্রেফতার হয়েছিল লালু। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি কান্দির এক আদালত লালুকে যাবজ্জীবন কারাবাস ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছ’ মাস কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। সাজা ঘোষণার দু’বছর পর লালু ২০২১ সালের ৬ মার্চ কান্দি আদালতে নথি পেশ করে। তাতে তার দাবি, আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। কান্দি আদালত লালুর জামিন মঞ্জুর করে ওই নথির ভিত্তিতে। অভিযোগ উঠেছে, সেই নথিটি জাল ছিল। এমন কোনও নির্দেশই হাই কোর্ট দেয়নি। কিন্তু সম্প্রতি কান্দি আদালতে সরকারপক্ষের আইনজীবী সুনীল চক্রবর্তী জামিনের নথি খতিয়ে দেখার সময় বিষয়টি নজরে আসে।

সরকারপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি হাই কোর্টের সরকারপক্ষের প্রধান আইনজীবী শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়ের নজরে আনি। তিনি বিষয়টি দেখার পর হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডির এডিজিকে অভিযোগ তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট বেঞ্চের কাছে জমা দিতে হবে।’’ সরকারপক্ষের আইনজীবী সুনীল বলেন, “হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির নামে নথি জাল করে একজন দাগি দুষ্কৃতী জামিন পেয়ে গেল। হাইকোর্ট সিআইডিকে তদন্ত করতে বলেই হাত গুটিয়ে নেয়নি। ওই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, ওই জাল নথি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে। কান্দি আদালতে কে সেটা দাখিল করেছে, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডির পদস্থ কর্তাদের।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement