তরুণীদের চোর সন্দেহে মারধর

 পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দুই তরুণী হলেন চায়না দে এবং ব্রিশ পতিয়া। তাঁরা বহরমপুরের খাগড়াঘাট এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে আস্তানা গড়ে রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৯ ০২:৪৪
Share:

চোর সন্দেহে যাযাবর দুই তরুণীকে মারধররে অভিযোগ একদল মহিলার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুরের মণীন্দ্রনগরের হাজারিবাগান নতুনপাড়ার ঘটনা। ঘটনাটি জানতে পেরে বহরমপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দুই তরুণী হলেন চায়না দে এবং ব্রিশ পতিয়া। তাঁরা বহরমপুরের খাগড়াঘাট এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে আস্তানা গড়ে রয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, চোর সন্দেহে কয়েকজন মহিলা তাঁদের মারধর করছিল। খবর পেয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘হাজারিবাগানে কী ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’’ একই সঙ্গে পুলিশ সুপার জেলার বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সন্দেহজনক কাউকে দেখলে পুলিশকে খবর দিন। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। কেউ আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না।’’বহরমপুরে হাজারিবাগান এলাকাটি মণীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। হাজারিবাগানের পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামলী দে বলেন, ‘‘শুনেছি চুরি করার অভিযোগে কয়েকজন মহিলা ওই দু’জনকে মারধর করছিল। এর বেশি জানি না।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হাজারিবাগান নতুনপাড়ায় একটি বাড়ি ফাঁকা দেখে ওই দুই যাযাবর ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, তাঁরা ওই বাড়িতে চুরির চেষ্টা করছিলেন। তখন পাড়ার লোকজন দেখতে পেয়ে তাঁদের ধরে ফেলেন। পরে তাঁদের হাত বেঁধে স্থানীয় কিছু মহিলা মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ।

Advertisement

চোর বা ছেলেধরা সন্দেহে মারধরের ঘটনা এ রাজ্যে নতুন কিছু নয়। এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চোর বা ছেলেধরা সন্দেহে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জেলায় জেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে প্রচারও শুরু হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও প্রচার করা হয়। বলা হয়— আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সন্দেহজনক কাউকে দেখলে স্থানীয় পুলিশকে খবর দিন। কিন্তু এত প্রচার সত্ত্বেও নাগরিকদের একাংশের নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতা আটকানো যাচ্ছে না।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement