প্রতীকী ছবি।
নদিয়ার পলাশিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর বুথে ভোটযুদ্ধে দুই জা। বড় জা মীনা বিশ্বাস বিজেপি প্রার্থী। অন্য দিকে, ছোট জা সমাপ্তি বিশ্বাস লড়ছেন তৃণমূলের প্রতীকে। রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামলেও দু’জায়েরই বক্তব্য, ভোটের ফলাফলে তাঁদের মধ্যে কোনও বিভেদ তৈরি হবে না।
তেহট্ট-২ ব্লকের পলাশিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর বুথে মোট ভোটার ১২৬৮ জন। সেই বুথে এই দুই জা প্রার্থী। মহিলা প্রার্থী দুই দল একই পরিবার থেকে দেওয়ায় নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছেন সমাপ্তি। আর বড় জা মীনাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে দু’জনেই তাঁদের সংসার সামলে প্রচার করছেন। সমাপ্তির পরিবার অনেক দিন থেকে তৃণমূল করে। অন্য দিকে, মীনার পরিবার দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির সমর্থক। দুই ভাই দুই দল করলেও কোনও দিন তাঁদের মধ্যে অশান্তি হয়নি। তাঁদেরও বক্তব্য, স্ত্রীরা ভোটে দাঁড়ালেও সম্পর্ক একই থাকবে। মীনা বলেন, ‘‘আমার স্বামীর ইচ্ছায় এ বার প্রথম ভোট যুদ্ধে নামা। তাই সংসার সামলে প্রচারে বের হচ্ছি। আমি মানুষের সাড়া পাচ্ছি। তাই এই নির্বাচনে আমি জিতবই। তবে যাই হোক ভোটের ফলাফল, আমরা যেমন নিজেদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা করি, সেটাই করব। ভোট নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও রকম মনোমালিন্য হবে না।’’
সমাপ্তিও বলছেন, ‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্ধসমর্থক। ছোট থেকে তাঁকে আদর্শ মেনে চলি। বিয়ের পরেও সেটার কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই দল যখন প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিল, আর না করতে পারিনি। তবে এই জন্য আমাদের মধ্যেও কোনও রকম মনোমালিন্য তৈরি হয় নি। আমি মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় বৌদির আশীর্বাদ নিয়েছি। আমার আশা, আমি জিতব। আমার শাশুড়ি সংসার সামলাচ্ছেন। তাই আমি নিশ্চিন্তে প্রচার করছি।’’ তৃণমূল প্রার্থী সংযোজন, ‘‘দুই জায়ের লড়াই তাড়িয়ে উপভোগ করছেন গ্রামবাসীরা। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছে না। তবে দুই জা দুই দলের হয়ে ভোটে দাঁড়ালেও কোনও রকম বিভেদ তৈরি হয়নি। এটাই আমরা চাই। ভোটের যুদ্ধ ব্যালটে হবে। সম্পর্কে যেন তার আঁচ না পড়ে!’’