পোস্তর খোল-সহ ধৃত দুই

প্রায় দেড় হাজার কিলোগ্রাম পোস্তর খোল আটক করল পুলিশ। গোপনে খবর পেয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ধুলিয়ান নতুন ডাকবাংলো মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওৎ পাতে পুলিশ। বীরভূমগামী একটি লরি আটক করে তল্লাশি চালাতে গিয়ে কার্যত চোখ কপালে ওঠে পুলিশের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধুলিয়ান শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

উদ্ধার হওয়া পোস্তর বস্তা। নিজস্ব চিত্র

প্রায় দেড় হাজার কিলোগ্রাম পোস্তর খোল আটক করল পুলিশ। গোপনে খবর পেয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ধুলিয়ান নতুন ডাকবাংলো মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওৎ পাতে পুলিশ। বীরভূমগামী একটি লরি আটক করে তল্লাশি চালাতে গিয়ে কার্যত চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। লরিতে থরে থরে সাজানো বস্তা খুলতেই বেরিয়ে পড়ে পোস্তর খোল।

Advertisement

ওই ঘটনায় লরির চালক শেখ সোনি ও খালাসি রাকেশ খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোনির বাড়ি বোলপুরের সিয়ানে। রাকেশের বাড়ি বর্ধমানের কেতুগ্রামের মাঝিনা গ্রামে।

ধৃত দু’জনকে রবিবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম সোমা দাস তাদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

এর আগে ৩১ অগস্ট ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড়ে কালিয়াচক থেকে আসা একটি লরি আটক করে হাজার কিলোগ্রাম পোস্তর খোল উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

পুলিশের দাবি, ধৃতেরা স্বীকার করেছে, দীর্ঘদিন ধরেই তারা কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগরের ষোলো মাইল এলাকা থেকে পোস্তর খোল নিয়ে বর্ধমান ও বীরভূমে পাচার করছে। আটক লরিটি মুর্শিদাবাদের পরিবহণ দফতরে নথিভুক্ত রয়েছে। লরি মালিক বোলপুরের মিহির শেখের কথা মতোই ওই খোল নিয়ে তারা বোলপুরে যাচ্ছিল বলে দাবি ধৃতদের।

জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের সরকারী আইনজীবী অশোক সাহা বলেন , “মাদক পাচারের মুল পান্ডারা কেউই ধরা পড়ে না। যারা ধরা পড়ে তারা বেশির ভাগই বাহক বা লরির চালক, খালাসি। পান্ডারা অধরা থেকে যাওয়ায় মাদকের কারবার কমছে না।” জঙ্গিপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পিনাকি দত্ত জানান, ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে কারবারে আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement