গাড়ি বিক্রেতাদের (ডিলার) সংগঠন ফাডার তথ্য বলছে, এই ৪২ দিনে সব মিলিয়ে বিক্রি মাথা তুলেছে ১১.৭৬%। —প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছরে অক্টোবরের গোড়া থেকে শুরু হয়েছিল উৎসবের মরসুম। গত মাসের ৩ তারিখ থেকে তা চলেছে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। গাড়ি বিক্রেতাদের (ডিলার) সংগঠন ফাডার তথ্য বলছে, এই ৪২ দিনে সব মিলিয়ে বিক্রি মাথা তুলেছে ১১.৭৬%। মূলত দু’চাকার চাহিদার ভর করে তা পৌঁছেছে ৪২.৮৮ লক্ষ। যদিও সেটাও লক্ষ্যমাত্রার (৪৫ লক্ষ) থেকে বেশ কিছুটা কম। চার চাকার বৃদ্ধির হার প্রত্যাশামতো না হওয়াই যার কারণ বলে জানাচ্ছে ফাডা। গত বছর উৎসবে মোট গাড়ি বিক্রি হয়েছিল ৩৮.৩৭ লক্ষ।
ডিলারদের তথ্য বলছে, এ বছর এই সময়ে চার চাকার গাড়ি বিক্রি ৭% বেড়ে হয়েছে ৬.০৩ লক্ষ। আর দু’চাকা ২৯.১১ লক্ষ থেকে বেড়ে ৩৩.১১ লক্ষের কিছু বেশি। বৃদ্ধির হার প্রায় ১৩.৮%। ফাডার সভাপতি সি এস বিজ্ঞেশ্বর বলেন, ‘‘এ বারের উৎসবে ৪৫ লক্ষ গাড়ি বিক্রির লক্ষ্য ছিল। কিন্তু দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে প্রবল বৃষ্টি এবং
ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে তা সম্ভব হয়নি। তবে গত বছরের চেয়ে ১১.৭৬% বেশি গাড়ি বিক্রি করেছি।’’ ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বিজ্ঞেশ্বরের এই মন্তব্য যেমন ঠিক। তেমনই সম্প্রতি মূলত ছোট-মাঝারি মাপের এবং কম দামের চার চাকার গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই উৎসবের মরসুমে যে হারে চার চাকার বিক্রি হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়নি।
ফাডা জানিয়েছে, প্রতি বছর নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে ধনতেরসের পরের ১৫ দিন পর্যন্ত সময়কে তারা
উৎসবের মরসুম বলে ধরে। বিজ্ঞেশ্বর জানান, এ বছর সেই সময়ে শহরের তুলনায় গ্রামে গাড়ি কেনার আগ্রহ বেশি ছিল। যার বড় অংশই দু’চাকা। ফলে সেগুলির বিক্রি বৃদ্ধির হারও বেশি। কিন্তু ট্রাক্টরের ক্ষেত্রে বিক্রি কমেছে। যা মূলত কৃষিতে ব্যবহার হয়। সামগ্রিক বিক্রির ছবি দেখে ডিলারদের কাছে গাড়ির মজুত এ বছরে ২১ দিনে নামানোর পরামর্শ দিয়েছে ফাডা।