ধৃত চার জন। নিজস্ব চিত্র
দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ফের সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের হাতে আটক চার বাংলাদেশি যুবককে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিল বিএসএফ।
শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে এলাকায় ঘুরতে বেরিয়ে অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ওই চার যুবক ঢুকে পড়েছিলেন ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে। বিএসএফ জওয়ানরা আটক করে তাদের।
শুক্রবার বেলা দেড়টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের সীমান্ত চৌকি জলঙ্গি এলাকায়।
ওই চার যুবকের নাম মিঠন মণ্ডল, রিপন মালিক, রুবেল হোসেন। তিন জনেরই বাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার তারাগুনিয়া গ্রামে। অন্যজন মহম্মদ আসরুফুল ইসলাম, বাড়ি কুষ্টিয়ার সাতবাড়িয়া গ্রামে।
বিএসএফ জানায়, আটকের পর এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দীর্ঘক্ষণ। তাঁরা জানান, তাঁদের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি। তাই তাঁরা বেরিয়েছিলেন সীমান্ত সম্পর্কে জানতে ও দেখতে। কিন্তু মাঠের আল বরাবর আসতে কখন যে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে তাঁরা ঠিক বুঝতে পারেননি।
বিএসএফের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি রঞ্জন জানান, শুভেচ্ছা ও মানবিকতার নিদর্শন হিসেবে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক করা হয়। বৈঠক শেষে ধৃত চার জনকেই বিএসএফ এর তরফে বিজিবির জওয়ানদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে এই প্রথম নয়। গত ২৯ অগষ্ট এই জলঙ্গি সীমান্ত চৌকিতেই বিএসএফ জওয়ানদের হাতে আটক হয় এক প্রতিবন্ধী মহিলা। সেদিন বিকেলেই বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেয় তাকে বিএসএফ। অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ওই মহিলাও ঢুকে পড়েছিলেন ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে। আটকের পরে দেখা যায় ওই মহিলা প্রতিবন্ধী, ডান হাত অকেজো। নাম কোহিমা বিবি। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার গোপীনাথপুর গ্রামে।
আবার, সীমান্ত লাগোয়া রঘুনাথগঞ্জের বাজিতপুরে থাকেন দাদু ইরামুল শেখ। নাতি নয়ন আলি সীমান্তের অপর পাড় বাংলাদেশের জোহরপুরের বাসিন্দা।
সম্পর্কের টানে সীমান্তের বেড়া পেরিয়ে দাদুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল ১২ বছরের নাতি গত ২২ জুলাই। দেখা করে বাংলাদেশে তে ফিরে যাওয়ার পথে সীমান্ত পেরোতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায় নাতি। প্রথমে আটক করলেও সম্পর্কের মানবিক টানের কথা মাথায় রেখে সেদিনই ধৃত ১২ বছরের নাতিকে পিরোজপুর সীমান্ত চৌকির বিএসএফ জওয়ানেরা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের হাতে তুলে দেয়।