পর্যটকের অপেক্ষায় হাজারদুয়ারি। —নিজস্ব চিত্র।
লকডাউন উঠে গেলেও কাটেনি অতিমারির প্রকোপ। কাজের প্রয়োজনে বাইরে বার হতে হলেও বেড়ানোর শখে সংযম দেখাচ্ছে সাধরণ মানুষ। আর তার প্রভাব পড়েছে মুর্শিদাবাদে। অন্যান্য বছর এই সময় পর্যটকের ভিড়ে যেখানে গমগম করে গোটা জেলা, সেখানে এ বার বলা যায় পর্যটকশূন্য নবাবনগরী। হোটেল মালিক থেকে টাঙ্গা চালক, গাইড সকলেরই রোজগার বন্ধ।
অন্যান্য বছর শীতের শুরুতেই লক্ষাধিক পর্যটক ভিড় করেন মুর্শিদাবাদে। কিন্তু এ বার অন্য ছবি। করোনা আবহে দীর্ঘদিন ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ট্রেন চালু হয়েছে যদিও, কিন্তু আগের মতো স্বাভাবিক পরিষেবা মিলছে না। যে কারণে পর্যটক আসা বন্ধ রয়েছে। তাতেই খাঁ খাঁ করছে হাজারদুয়ারি থেকে ফরাক্কা। রুটি-রোজগার বন্ধ পর্যটন নির্ভর মানুষের।
টাঙ্গা চালকরা জানিয়েছেন, আগের মতো যাত্রী পাওয়া তো দূরের কথা, ঘোড়ার খাবারের ব্যবস্থা করতেও হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। নবাবনগরীর ঐতিহাসিক উপাখ্যান শুনিয়ে পেটের ভাত জুটত যাঁদের, সেই গাইডরা বাড়িতে বসে রয়েছেন। লালবাগের হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন
আরও পড়ুন: হিম্মত থাকলে ‘ভাইপো’র নাম বলুন, তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি
আরও পড়ুন: বৈশাখী নিমন্ত্রিত নন, বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যাচ্ছেন না শোভন
মুর্শিদাবাদের এমন পরিস্থিতি যদিও গত বছর নভেম্বর মাস থেকেই। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) ঘিরে সেই সময় আন্দোলন হিংসাত্মক আকার ধারণ করে জেলায়। বেলডাঙা ষ্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। কৃষ্ণপুর স্টেশনে হাজারদুয়ারী এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার আগেই অতিমারির প্রকোপ নেমে আসে।