প্রতীকী ছবি।
সবে তিনটে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। শনিবার ইতিহাস পরীক্ষা। কিন্তু শুক্রবার সারা দিন ধরে মনে হল, যেন দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে মেতে রয়েছি। সকাল থেকে সারা দিন এমনকি রাত পর্যন্ত মাইক বাজিয়ে চলল গান। কোথাও কেউ বারণ করার নেই। এত যে আইনের কথা শুনি, পরীক্ষার সময় লাগাতার মাইক যে বাজল, তা তো আইন বিরুদ্ধ কাজই। কই পুলিশ আটকালো না তো! আসলে আমাদের কথা ভাবার লোক নেই?
সোমবার অঙ্ক পরীক্ষা। গত কাল ইতিহাস পড়বার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্ক প্র্যাক্টিস করতে হয়েছে অতিরিক্ত এক দিন ছুটি পাওয়ায়। কিন্তু তা করব কী করে? সারাক্ষণ কানের সামনে তারস্বরে মাইক বাজছে।
এ শহরে আমার অনেক বন্ধু আছে। তাদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানতে পেরেছি, তাদের বাড়ির আশেপাশেও একই ভাবে গমগম করে বক্স বেজেছে।
এমনিতেই আমরা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসছি। ভয় করে। সাধারণ অবস্থায় হকারের ডাক, লোকজনের চিৎকার এড়াতে দরজা জানলা বন্ধ করে বাড়িতে পড়তে হয়। আর সেই আওয়াজ কি না এখন ঘরে এসে ঢুকছে। কারও পক্ষেই এই পরিবেশে মন দিয়ে পড়াশোনা করা সহজ নয়।
অনেকেই বলেন, সারাদিন কি কেউ বই পড়ে? এটা ঠিক সারাদিন বইয়ে মুখ গুঁজে পড়ে থাকি না। কিন্তু বই সামনে থাকলেই পড়ার মধ্যে থাকা আর তা না হলে পড়ার মধ্যে থাকা নয় এটা সরল করে বলে দেওয়া। আসলে আমাদের পরীক্ষা বিষয়টা বোধহয় বড়দের কাছে গুরুত্ব পায় না। শুধু আজ ফাইনাল পরীক্ষা বলে নয়। এর আগেও একই জিনিস ঘটেছে। টেস্ট পরীক্ষা শেষ হয়েছে নভেম্বর মাসে। সেই সময় পুজোর রেশ কাটে না। মাইকের ব্যবহার তখনও চলে। তার মধ্যেই পরীক্ষা দিতে হয়।
চিন্তা কাটেনি সাগরদিঘিতে।
লেখক: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী