ফাইল চিত্র।
ছাপ্পার দাগহীন জয়ী প্রার্থীদের ধুলিয়ান ও জঙ্গিপুরে পুরপ্রধান পদে বেছে নিয়ে স্বচ্ছতার উপরেই ষোল আনা ভরসা রাখল তৃণমূল। ধুলিয়ানের পুরপ্রধান হচ্ছেন মহম্মদ ইনজামুল ইসলাম (রাজা) এবং জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান হচ্ছেন মফিজুল ইসলাম।
দুই শহরের বিরোধীরাও ঘোষিত এই দুই পুরপ্রধান পদপ্রার্থীদের জয় নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তোলেননি কখনও। দুই পুরপ্রধানই জিতেছেন রেকর্ড ভোটে ছাপ্পার কলঙ্ক ছাড়াই। মফিজুল ৩৭৪২টি ভোটের মধ্যে পেয়েছেন ৮৫ শতাংশ ভোট এবং ইনজামুল জয়ী হয়েছেন ৩৫৫৯টি ভোটের মধ্যে ৮৯ শতাংশ ভোট পেয়ে। এর জন্য অবশ্য ছাপ্পা ভোটের আশ্রয় নিতে হয়নি তাঁদের।
গত দু’দিন থেকে ধুলিয়ান ও জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান কে হবেন তা নিয়ে জল্পনার শেষ ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে যার ইচ্ছে মতো তালিকা বানিয়ে দুই পুরসভাতেই পুরপ্রধান পদে যাকে খুশি বসিয়ে উস্কে দিচ্ছিলেন সেই জল্পনাকে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার সেই সব বহু চর্চিত নামগুলিকে কেন্দ্র করে তাদের অনুগত সমর্থকরা পটকা ফাটাতেও শুরু করে দেন সোমবার রাতে। যদিও সেই তালিকা মেলেনি বাস্তবের সঙ্গে।
মঙ্গলবার কলকাতার তৃণমূল নেতারা ধুলিয়ান ও জঙ্গিপুরের পুরপ্রধানদের তালিকা চূড়ান্ত করে পাঠিয়ে দেন দিল্লিতে। কারণ এই মুহূর্তে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান সাংসদ হিসেবে লোকসভায় যোগ দিতে দিল্লিতে রয়েছেন। দিল্লি থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল বৈঠকে তৃণমূলের খলিলুর রহমান বিকেলে জানিয়ে দেন ধুলিয়ান ও জঙ্গিপুর পুরসভায় পুরপ্রধান পদে দলের পছন্দের প্রার্থীদের নাম।
ধুলিয়ানে পুরপ্রধান পদে বেছে নেওয়া হয়েছে মহম্মদ ইনজামুল ইসলামকে। ২৭ বছর বয়সী পাট ব্যবসায়ী ইনজামুল দলেরই ৪ নম্বর ওয়ার্ডেরই বিদায়ী কাউন্সিলার আমিরুল মহলদারের (কালু) ছেলে। বিরোধী দুই দল কংগ্রেস ও সিপিএম তাঁর বিরুদ্ধে সে ভাবে প্রার্থীই দিতে পারেনি এ বারে।
একই ভাবে জঙ্গিপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডেও মফিজুলের বিরুদ্ধেও সে ভাবে প্রার্থীই দাঁড় করাতে পারেনি বিরোধীরা। এই নিয়ে তিন তিনবার কাউন্সিলর হলেন মফিজুলের পরিবার। ২০১০ সালে মফিজুল জিতেছিলেন কংগ্রেস থেকে। ২০১৫ সালে তাঁর স্ত্রী জয়ী হন। এ বারে ফের জয়ী হন মফিজুল।
ধুলিয়ানে উপ পুরপ্রধান হচ্ছেন সেখানকার বিদায়ী পুরপ্রধান করোনায় প্রয়াত সুবল সাহার ছেলে সুমিত সাহা। বাবার ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এ বারে দাঁড়ান সুমিত। ছাপ্পা মুক্ত জয় পেয়েছেন সুমিতও সেই ওয়ার্ড থেকেই। ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। বলতে বাধা নেই বাবার জনপ্রিয়তার সুফল পেয়েছেন তিনি তাঁর ভোট বাক্সে। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সুমিত ধুলিয়ান পুরসভাতেই চাকরি করতেন। সে চাকরি ছেড়ে পুরভোটে দাঁড়ান। জঙ্গিপুরের উপ প্রধান হয়েছেন সন্তোষ চৌধুরী।