TMC

পিছোল তৃণমূলের কমিটি গঠন

প্রসঙ্গত, জেলায় এর আগেও নিষিদ্ধ সংগঠন ‘সিমি’র সদস্য হিসাবে নাম জড়ায় তৃণমূলের এক নেতার। এ বার তাই দিল্লির গোয়েন্দাদের হাতে আটক জঙ্গি সদস্যদের অতীত, বর্তমান জানতে ইতিমধ্যে দলের নেতারা খোঁজ শুরু করেছেন স্থানীয় স্তরে।

Advertisement

বিদ্যুৎ মৈত্র

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৫
Share:

প্রতীকী চিত্র

জেলা কমিটিতে কে, কোন দায়িত্বে থাকবেন, তার প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সেই কমিটি ঘোষণার কথাও ছিল। কিন্তু শনিবার দিল্লি গোয়েন্দা পুলিশের হাতে জেলা থেকে ন’জনকে আল কায়দা সদস্য সন্দেহে গ্রেফতারের পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য কমিটিও। জেলা নেতাদের সঙ্গে পরামর্শের পরে স্থগিত হয়ে যায় নয়া জেলা তৃণমূল কমিটি ঘোষণা। কবে তা ঘোষণা করা হবে, তা নিয়েও ধন্দে জেলা নেতারাই। অনেকে বলছেন পরিস্থিতি একটু থিতিয়ে গেলে হয় তো ঘোষণা হবে।

Advertisement

একুশের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে পিকের দলের রিপোর্টে ভিত্তি করে জেলায় নয়া কমিটি গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়ে মাসকয়েক আগে। সেই মত বার কয়েক খসড়াপত্র বদলে অবশেষে চূড়ান্ত তালিকা পাঠানোও হয়েছে তৃণমূল ভবনে। আর তারপর থেকে দলীয় পদ পেতে পারেন, এমন কর্মী সদস্যদের বাড়তি উদ্যোগ যেমন নজর কেড়েছে, তেমনই দলীয় পদ হারাতে পারেন সেই উৎকণ্ঠাতেও দিন কাটাচ্ছেন বহু নেতা। ফলে উভয় পক্ষই তাকিয়ে ছিলেন সেপ্টেম্বরের বাইশে দল ঘোষণার অপেক্ষায়। তার আগেই শনিবার কাকভোরে সীমান্তবর্তী তিন ব্লক থেকে মুর্শিদাবাদে জঙ্গি যোগের সন্ধান দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এন আই এ)।

আর তার পরেই চুপিসারে মঙ্গলবারের জেলা কমিটি ঘোষণার দিন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় দলেরই অনেকের স্পষ্ট ইঙ্গিত ওই দিকেই। তৃণমূলের ডোমকল ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য মেহবুব মুর্শিদ বলেন, “এই মহকুমার ৮০ শতাংশ মানুষই আমাদের দলের সদস্য। তা সত্ত্বেও এই সংগঠনের পাশাপাশি তাদের কে কোন সংগঠন করছে, তা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের নাম এই জেলার মানুষের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ায় আমরা চিন্তিত।” রানিনগর ২ ব্লকের সভাপতি শাহ আলম সরকার বলেন, “২০১৯ এর ভোটে রানিনগর ব্লক থেকে আমরা প্রায় ১৮ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলাম। ফলে বুঝতেই পারছেন এই ব্লকে আমাদের সমর্থক বেশি। তবে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জেলার যোগ থাকায় তৃণমূল দলের জেলা কমিটি ঘোষণা পিছিয়ে গেল, না অন্য কোন কারণে পিছোল সে ব্যাপারে আমরাও অন্ধকারে।” প্রসঙ্গত, জেলায় এর আগেও নিষিদ্ধ সংগঠন ‘সিমি’র সদস্য হিসাবে নাম জড়ায় তৃণমূলের এক নেতার। এ বার তাই দিল্লির গোয়েন্দাদের হাতে আটক জঙ্গি সদস্যদের অতীত, বর্তমান জানতে ইতিমধ্যে দলের নেতারা খোঁজ শুরু করেছেন স্থানীয় স্তরে। জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “যাঁরা এই জেলা থেকে ধরা পড়েছে আমরা দলীয় ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজখবর করার চেষ্টা করছি। তার মানে এই নয় যে ওই কারণেই জেলা কমিটি ঘোষণা স্থগিত হয়েছে। উপরতলার নির্দেশেই তা ঘোষণা করা হয়নি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement