Mayapur Railway

রেলপথ নিয়ে মহুয়া সরব হোন, চায় কমিটি 

নবদ্বীপে গঙ্গার পূর্বপাড়ে আমঘাটা থেকে স্বরূপগঞ্জ প্রায় চার কিলোমিটার রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি নিয়ে ভোট মিটতেই আন্দোলনে নেমেছেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৯
Share:

সাংসদ মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

ক্রমশ তীব্র হচ্ছে নবদ্বীপ ঘাট রেল স্টেশন বাঁচাও কমিটির আন্দোলন। গ্রামীণ নবদ্বীপের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের নিয়ে সভা, পদযাত্রার পর এবার ওই আন্দোলনে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সামিল করার উদ্যোগ শুরু হল।

Advertisement

রবিবার বিষয়টি নিয়ে স্বরূপগঞ্জের গৌরাঙ্গ ভবনে নবদ্বীপ ঘাট রেল স্টেশন বাঁচাও কমিটির ডাকে সর্বস্তরের মানুষ এবং দলমত নির্বিশেষে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সদস্য চিন্ময় ঘোষ, প্রবাল দাস, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অজয় কর, বিমল চক্রবর্তী, কল্লোল কর, বঙ্কিম অধিকারী, প্রলয় ভট্টাচার্য, নন্দলাল ক্ষেত্রী প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, নবদ্বীপে গঙ্গার পূর্বপাড়ে আমঘাটা থেকে স্বরূপগঞ্জ প্রায় চার কিলোমিটার রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি নিয়ে ভোট মিটতেই আন্দোলনে নেমেছেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা। গড়া হয়েছে নবদ্বীপ ঘাট রেলস্টেশন বাঁচাও কমিটি। কিছুদিন আগেই কমিটির উদ্যোগে শুরু হয়েছে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের দাবিতে এক লক্ষ সাক্ষর সংগ্রহের কাজ। শান্তিপুর-নবদ্বীপ ঘাট রুটে অতীতের ন্যারোগেজ রেলপথ ব্রডগেজ হওয়ার পর যাতে পুরনো প্রান্তিক স্টেশন পর্যন্ত রেল চলে সেই দাবিতে চলছে সই সংগ্রহের কাজ। নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত পুনরায় রেল চালুর দাবিকে জোরদার করার লক্ষ্যে পরবর্তী ধাপে তাঁরা বিভিন্ন পদাধিকারীদের এই আন্দোলনে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে কমিটির অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক সুদীপ দেবনাথ বলেন, “এদিন আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে সমস্ত পঞ্চায়েতের প্রধান এবং সদস্যদের কাছে আমরা এই দাবির সমর্থনে আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার আবেদন জানাব। পাশাপাশি বিডিও, এসডিও, জেলাশাসকের কাছেও একই আবেদন রাখব।” কমিটির সদস্যদের প্রশ্ন, যতদিন ন্যারোগেজে রেল চলত ততদিন নবদ্বীপ ঘাটে এসে ট্রেনটির যাত্রা-বিরতি হত। এখন যখন ব্রডগেজ হয়েছে লাইন, তখন কেন তা আমঘাটা হয়ে থমকে যাবে?

Advertisement

কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা কল্লোল কর বলেন, ‘‘আমরা এই আন্দোলনে অন্যদের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেও। তিনি কৃষ্ণনগরের সাংসদ হলেও মহেশগঞ্জ তাঁর মামার বাড়ি। নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৫৭ সালে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত ইলা পাল চৌধুরীর সম্পর্কে তিনি নাতনি। সুতরাং এই রেলপথের সঙ্গে তিনিও জড়িয়ে আছেন। লোকসভায় তিনি এই রেলপথের জন্য দাবি জানাবেন এই আবেদন আমরা তাঁর কাছে রাখব।” কমিটির সভাপতি দেবাশিস দাস জানান, ১৭ জুলাই, বুধবার ঐতিহ্যবাহী নবদ্বীপ ঘাট রেল স্টেশন বাঁচানোর দাবিতে এলাকায় তিনটি জায়গায় পথসভা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement