—প্রতীকী ছবি।
মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে দলবদলের পর ফেরার পথে গ্রেফতার হলেন কংগ্রেসে যোগদানকারী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ডোমকলের মধুরকুল গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় ‘অপহরণের’ অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক কংগ্রেস নেতাকে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন ‘হাত’ নেতৃত্ব। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, এটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক বিষয়।
মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন ডোমকল মধুরকুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৭ নম্বর বুথের তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী সদস্য রাফিজা বিবি। অভিযোগ, এর পর রাতেই বহরমপুর থেকে ডোমকল ফেরার পথে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। রাফিজাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ডোমকলের স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ইন্তাদুল হক মীরকেও। এর পরেই প্রতিবাদে ও ধৃত নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।
কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের অনেক জয়ী সদস্যকে জোর করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে। আর এক জন স্বেচ্ছায় যখন কংগ্রেসে দিল তখন তাঁকে এবং আর এক কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করা হল। এর থেকে নোংরা রাজনৈতিক হিংসা আর হতে পারে না।’’ মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার কংগ্রেসের আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, ‘‘প্রশাসনিক বিষয়। এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়।’’
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মধুরকুল গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৬। পঞ্চায়েত ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। আট আসনে জেতে তৃণমূল, সাতটি আসনে জেতে কংগ্রেস, একটি আসনে জেতেন সিপিএম প্রার্থী। এর মধ্যেই জয়ী তৃণমূল প্রার্থী রাফিজা বিবি যোগ দিলেন কংগ্রেসে। দলের ঘোষিত নীতি মেনেই এই পঞ্চায়েতে কংগ্রেসকে সমর্থন করার কথা সিপিএমের জয়ী সদস্যের। এ বার তৃণমূল থেকে এক সদস্য কংগ্রেসে আসায় ১৬ আসনের পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের পক্ষে থাকবে ন’জন।