মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল তৃণমূল। এর আগে গত ২ অগস্ট ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের ফরিদা বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে তৃণমূল চিঠি জমা দেয়। তার পরেই এ দিন অনাস্থার সভা হবে বলে প্রশাসন জানায়। এ দিন অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৬টি ভোট পড়ে। বাম ও কংগ্রেসের সদস্যরা অনাস্থা সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
গত পঞ্চায়েত ভোটে মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির ২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের আট জন এবং ১২ জন সিপিএমের এবং চার জন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী জয়ী হন। গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সিপিএমের পাঁচ জন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের দু’জন কর্মাধ্যক্ষ-সহ মোট ১০ জন নির্বাচিত সদস্য শাসক দলে যোগ দেন। তিন জন নির্বাচিত সদস্য হলেন—ওই পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি ফরওয়ার্ড ব্লকের সরস্বতী মণ্ডল এবং কংগ্রেসের দুজন বিলকিস বেগম ও ধনঞ্জয় মণ্ডল।
তখন ‘দলত্যাগী’ ওই সাত জন কর্মাধ্যক্ষকে অপসারণের জন্য বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়। গত ২৬ জুলাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ওই সাত জন কর্মাধ্যক্ষ অপসারিত হন। অপসারণের ৩০ দিনের মধ্যে স্থায়ী সমিতির সভা ডেকে ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে নতুন কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ দিন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা চিঠি জমা পড়ার পরে তার আর কোনও প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করছে ব্লক প্রশাসনের একাংশ।
এখন পর্যন্ত যে ১৬ জন সদস্য শাসক দলে যোগ দিয়েছেন, তার মধ্যে কংগ্রেসের ছ’জন, সিপিএমের সাত জন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের তিন জন সদস্য রয়েছেন। দলবদল প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সাংসদ সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান বলেন, ‘‘ভয়, প্রলোভন ও পুলিশের চাপ—ওই সমস্ত কারণেই বাধ্য হচ্ছেন সদস্যরা দল ত্যাগ করতে। এটা কোনও ভাবে গণতন্ত্র নয়। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিরোধীরা থাকবে না, এটা কখনও হয় না কি!’’
পাল্টা কংগ্রেস থেকে সদ্য দলত্যাগী প্রাক্তন জেলাপরিষদ সদস্য তৃণমূলের স্থানীয় নেতা প্রবাল সরকার বলেন, ‘‘এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে সদস্যরা স্বেচ্ছায় শাসক দলে যোগ দিচ্ছে। তাদের কোনও ভয় বা প্রলোভন দেখানো হচ্ছে না।’’