শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসা করছেন মহুয়া মৈত্র। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে একটি শিশু। তা দেখে কনভয় থামালেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। গাড়ি থেকে নেমে শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা করলেন তিনি। এর পর আহত শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও করলেন। বুধবার ভিন্ন চেহারায় সাংসদকে দেখলেন করিমপুরের সেনপাড়া এলাকার বাসিন্দারা।
বুধবার নিজের সংসদীয় এলাকায় ইদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন মহুয়া। পণ্ডিতপুর মোড়ে এক কর্মীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি যাচ্ছিলেন করিমপুরে নিজের আবাসনের উদ্দেশে। কিন্তু মাঝপথে থামতে হয় তাঁকে। সেনপাড়া পেরোনোর সময় মহুয়ার কনভয়ের সামনে একটি বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হন তিন জন। তার মধ্যে এক শিশুও ছিল।
সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন সাংসদ। জটলা পেরিয়ে তিনি সটান পৌঁছে যান দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইক আরোহীদের কাছে। দেখতে পান, দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়েছে এক শিশু। আঘাত পেয়ে তখন সে কাঁদছে। মহুয়া তখনই নিজের গাড়িতে থাকা ‘ফার্স্ট এইড কিট’ বার করে শিশুটির শুশ্রূষা শুরু করেন। কথায় কথায় জেনে নেন, শিশুটির নাম, অলিভিয়া বিশ্বাস। ওই দুর্ঘটনায় জখম হন শিশুটির বাবা এবং মা-ও। তাদের করিমপুর গ্রামীণ হাসপতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে নিজের গাড়িতে ওঠেন সাংসদ।
মহুয়াকে সংসদে, মঞ্চে বা রাজনীতির অঙ্গনেই দেখতেই অভ্যস্ত সকলে। রাজনীতির পরিসরে মহুয়ার বাগ্মিতা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সেই মহুয়াকেই ভিন্ন রূপে দেখলেন করিমপুরের বাসিন্দারা।