TMC

তৃণমূলকে হারানোর টেন্ডার নিয়েছেন খলিলুর! তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিধায়ক

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে ১২৪ জনের নাম ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি খলিলুর। তার পরেই শুরু বিবাদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪৮
Share:

বৈঠকে ‘ব্যক্তিগত অপছন্দের’ কিছু নাম আসতেই খলিলুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইমানি। —ফাইল চিত্র।

বহরমপুরের পর মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর তৃণমূলের সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা ঘিরে সংঘাতে জড়ালেন শাসকদলের সাংসদ এবং বিধায়ক। জঙ্গিপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান এবং সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস।

Advertisement

বুধবার জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি খলিলুর রহমান। সাংবাদিক বৈঠকে খলিলুরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুতির বিধায়ক ইমানিও। সেখানেই হল ‘ঝামেলা’। সদস্যদের নাম ঘোষণা করতে করতে খলিলুর যেই সুতি থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তহিরুল ইসলামের নাম বলেন ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইমানি। তিনি সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে সোজা চলে যান সুতি। সেখানে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের সভাপতি তথা সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। অন্য দিকে, খলিলুরের দাবি, ওই তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদনে তৈরি হয়েছে।

তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে ১২৪ জনের নাম ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি খলিলুর। বৈঠকে ‘ব্যক্তিগত অপছন্দের’ কিছু নাম আসতেই ক্ষোভ উগরে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইমানি। তাঁর কটাক্ষ, “কংগ্রেস, সিপিএমের কাছ থেকে তৃণমূলকে হারানোর টেন্ডার নিয়েছেন সাংসদ খলিলুর রহমান।’’ খলিলুরের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘যারা প্রকাশ্যে কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং বিজেপিকে সমর্থন করত, তাদের কেন জেলা কমিটিতে রাখা হল?’’

Advertisement

ইমানির এ-ও দাবি, কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা করেছেন খলিলুর। এর প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটেও পড়বে বলে মনে করেন তিনি। অন্য দিকে, দলীয় বিধায়কের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিস্তারিত ভাবে কিছু বলেননি খলিলুর। তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, যা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি নিয়েই হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement