রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে আগুন। মঙ্গলবার ধানতলায়। ছবি: সুদেব দাস।
রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নির্দল প্রার্থী আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন নির্দল প্রার্থী শ্যাম কর্মকার।
ধানতলা থানার নতুনগ্রাম মাহেশ্যপাড়া এলাকায় সোমবার রাতের এই ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মলয় দাসের মোটরবাইক, সাইকেল ও একটি কাঁচা ঘর। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে ধানতলা থানার পুলিশ।
রানাঘাট-২ ব্লকের রঘুনাথপুর হিজুলি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৭ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মলয় দাস। এখানে দলবিরোধী কাজ ও নির্দল প্রার্থী হওয়ার কারণে ভোটের আগে শ্যাম কর্মকারকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মাত্র এক ভোটে তিনি তৃণমূল প্রার্থীর থেকে পরাজিত হয়েছেন। তার পরেই পুনর্গণনার দাবিতে রানাঘাট আদালতে মামলা করেন। সেই মামলার ভিত্তিতে আদালত আগামী ১৪ অগস্টের মধ্যে ওই বুথে পুনরায় গণনার নির্দেশ দিয়েছেন। জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মলয় দাস বলেন, "রাত তখন দুটো হবে। হঠাৎই কয়েজন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে আমার বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। বাড়ির বাইরের আলো নিভিয়ে ওরা পেট্রোল ঢেলে একটি কাঁচা ঘর, মোটরবাইক, সাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।" তাঁর আরও অভিযোগ, "এই কাজের পিছনে নির্দল প্রার্থী শ্যাম কর্মকার আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যুক্ত। ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই ও এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।" নির্দল প্রার্থী শ্যাম কর্মকারের পাল্টা দাবি, "নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর থেকেই নতুনগ্রাম এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের মলয় দাস ও তাঁর আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আমি এবং আরও বেশ কয়েক জন বাড়ি ছাড়া। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, হিজুলি রঘুনাথপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ১৬টি আসনে তৃণমূল, বিজেপি দুইটি, কংগ্রেস একটি এবং নির্দল প্রার্থী একটি আসনে জয়ী হয়েছেন।রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, গত ১৭ জুলাই রানাঘাট আদালতে মামলা দায়ের হতেই জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।