ছবি: পিটিআই।
নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পরে ভয়ে কাঁটা উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দারা। ফের দেশছাড়া হওয়ার ভয়ে রয়েছেন অনেকে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভয়েও ভয় যায়নি। এমন আবহে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে মাঠে নামছে তৃণমূল।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার উদ্বাস্তু শহর কুপার্স নোটিফায়েড ক্যাম্পের করুণাময়ী হলে বিধানসভাভিত্তিক এক কর্মশালার আয়োজন করে তৃণমূল। সেই কর্মশালায় রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার এক হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ভয়াবহতা নিয়ে প্রচার করবেন। তার জন্য লিফলেটও ছাপানো হয়েছে। তা বাড়ি বাড়ি বিলি করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশভাগের সময় বা তার পরে বহু মানুষ তৎকালীন পূর্ববঙ্গ থেকে এ দেশে চলে আসেন। তাঁদের অনেকে এখনও দলিল পাননি। সম্প্রতি রাজ্যের জমিতে বসবাসকারী উদ্বাস্তু লোকজনকে দলিল দেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য। তবে গত নভেম্বরে রাজ্য মন্ত্রিসভায় ঠিক হয়, কেন্দ্রের জমিতে বা ব্যক্তিগত জমিতে বসবাসকারী লোকজনকেও দলিল দেবে রাজ্য। তার জন্য কেন্দ্র বা ব্যক্তিমালিক ক্ষতিপূরণ চাইলে তা রাজ্য দেবে। তবে ওই দলিল নিয়ে ‘ধন্দ’ যাচ্ছে না অনেকের।
এমন পরিস্থিতিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের পদক্ষেপ করছে তৃণমূল। এ দিনের কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের উদ্বাস্তু সেলের চেয়ারম্যান মুকুলচন্দ্র বৈরাগ্য। তিনি বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কতটা ভয়ঙ্কর তা বোঝানোর জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনপিআর ফর্মে বাবার জন্মস্থান জানতে চাইছে। এই তথ্যের মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের বিদেশি বানাতে চাইছে। এতে মানুষ আতঙ্কিত। ঘটনার ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য লিফলেট ছাপানো হয়েছে। সেই লিফলেট নিয়ে আমাদের সংগঠনের সদস্যেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করবেন।”
তৃণমূলের এমন পদক্ষেপকে ব্যঙ্গ করে বিজেপির কুপার্স শহর মণ্ডলের সভাপতি দীপক দে বলেন, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে উদ্বাস্তু মানুষই বেশি উপকত হবেন। তৃণমূল নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে মাঠে নেমেছে। আমরাও সিএএ-র সমর্থনে মানুষের কাছে যাচ্ছি। সাড়া পাচ্ছি।”