তৃণমূলের বিরাট বাহিনী সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। নিজস্ব চিত্র।
বচসার সূত্রপাত দলীয় তহবিল সংগ্রহে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে। সেই বিবাদ নিয়ে পরে সংঘর্ষে জড়াল সিপিএম ও তৃণমূল। মারামারির ঘটনায় দু’পক্ষের অন্তত ১৭ জন জখম হয়েছেন। সোমবার মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার চর রাজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। রানিনগরের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দলবল নিয়ে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় এবং দলের এক কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। শাসকদল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত ভাটুপাড়ায় সোমবার সকালে সিপিএম কর্মীরা দলীয় তহবিল সংগ্রহে বেরিয়েছিলেন। তাঁরা তৃণমূলকর্মীদের বাড়িতেও কেন সংগঠিত ভাবে যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তহবিল সংগ্রহ কর্মসূচির প্রতিবাদ করেন শাসকদলের দুই কর্মী। তাঁদের দাবি ছিল, প্রতিবাদ করায় তাঁদের উপর বাঁশ আর লো়হার রড দিয়ে আক্রমণ করেছে সিপিএম। রানিনগর পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই ঝামেলা তখনকার মতো মিটে যায়। সিপিএমের অভিযোগ, ওই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে তৃণমূলের বিরাট বাহিনী সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদ করায় সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলামের বাড়িতেও চড়াও হন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। হাফিজুলের পরিবারের দাবি, ১০০ জনেরও বেশি লোক লোহার রড ও বাঁশ নিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আরও অভিযোগ, মহিলাদের মারধর করা হয়েছে। বাদ যায়নি শিশুরাও। মারধরের জেরে হাফিজুলের পরিবারের দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও জখম হয়েছে বলে দাবি।
তৃণমূলের তরফে অবশ্য সিপিএমের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং, তাদের দাবি, সিপিএমের মারধরে তাদের দুই কর্মী জখম হয়েছেন। পাশাপাশিই, স্থানীয় তৃণমূল নেতা দফোর শেখ বলেন, ‘‘বাঁশ, লাঠি নিয়ে সিপিএম মিছিল করে যাচ্ছিল। শুধু বলেছিলাম, মিছিলে কেন বাঁশ থাকবে। এর পরেই সিপিএমের মিছিল থেকে আমাদেরকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করা হয়।’’