কৃষ্ণনগর পুরসভা। — ফাইল চিত্র।
নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন-ঘনিষ্ঠকে দরপত্র পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুরসভা পরিচালিত ক্যাফেতে তালা ঝোলানোর অভিযোগ দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ক্যাফের পাশের পার্কটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কদমতলা ঘাটের পার্শ্ববর্তী পার্ক ও ক্যাফে পুরসভাই তৈরি করেছিল। প্রশ্ন উঠছে, এক জন কাউন্সিলর কী ভাবে পুরসভার কোনও প্রকল্প বন্ধ করে দিতে পারেন! এ নিয়ে পুরসভায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন ক্যাফের মালিক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারপার্সন রীতা ঘোষ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগর পুরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলরেরা বর্তমানে আড়াআড়ি বিভক্ত। পূর্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিশির কর্মকারের গোষ্ঠীর সঙ্গে চেয়ারপার্সন রীতার গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চরমে। যার ফলশ্রুতি হিসাবে চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুই তৃণমূল কাউন্সিলর প্রকাশ দাস এবং পলাশ দাস রীতার সঙ্গে একাধিক বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান। তারই সর্বশেষ সংযোজন এই ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের দাবি, তাঁদের অন্ধকারে রেখে অনুগামীদের দরপত্র পাইয়ে দিয়েছেন চেয়ারপার্সন। পাল্টা, নিয়ম মেনেই কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি রীতার। গাজোয়ারি করলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
ক্যাফের মালিক প্রলয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমি নিয়মিত কাজ করতাম। কয়েক জন ছেলে এসে জোর করে ক্যাফে বন্ধ করে দেয়। আমাদের গালিগালাজ দিয়ে শাসানো হয়। পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’ রীতা বলেন, ‘‘আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি মহকুমাশাসক-সহ শীর্ষ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কৃষ্ণনগর শহরের সৌন্দর্যায়নের কাজের জন্য পার্ক ও ক্যাফে পুরসভাই তৈরি করেছিল। আগামিদিনে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে। তবে কোনও ব্যক্তির দাদাগিরি বরদাস্ত করব না।’’ কাউন্সিলর পলাশ বলেন, ‘‘এই অভিযোগ মিথ্যা। ওই ক্যাফে এবং পার্কের কিছু অংশ আমার ভাইয়ের ওয়ার্ডেও পড়ে। কবে ওই পার্কের কাজ ও ক্যাফের টেন্ডার ডাকা হয়েছে তা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুরসভা আমাদের কিছুই জানায়নি। আমরা গিয়েছিলাম, এটা সত্যি। কিন্তু ক্যাফেতে উপস্থিত কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। আমরা অনুরোধ করেছিলাম ক্যাফে বন্ধ রাখার জন্য।’’