দুর্ঘটনার পর পথ অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। — নিজস্ব চিত্র।
জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বাজার করতে বেরিয়েছিলেন সকাল সকাল। বাজার করতে গিয়েই প্রাণ গেল এক মধ্যবয়স্কের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাটে। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। পথ অবরোধ।
গোঘাটের সেনাই গ্রামের বাসিন্দা বছর ৪২-এর প্রতীক ঘোষ। বুধবার সকালে বাজার করতে গিয়েছিলেন আরামবাগ-বিষ্ণুপুর ২ নম্বর রাজ্য সড়কের বেঙ্গাই চৌমাথার কাছের বাজারে। সেই সময় রাজ্য সড়কের উপর আরামবাগের দিক থেকে বিষ্ণুপুরগামী একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল। সেই ট্রাকটিই পিষে দেয় প্রতীককে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ ক্ষণ রাস্তাতেই পড়েছিল দেহ। পুলিশের দেখা মেলেনি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এর পর স্থানীয়েরা পথ অবরোধ শুরু করেন। পুলিশ এলে তাদের ঘিরেও দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসী। মৃতের পরিবারের দাবি, ঘটনার খবর পাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ অকুস্থলে এসে পৌঁছয়। অবরোধের জেরে ২ নম্বর রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজট ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, খাটুল চেক পোস্টের কাছেই ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। ট্রাকের চালক এবং খালাসিকেও আটক করেছে পুলিশ। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ দিকে, জামাইষষ্ঠীর বাজার সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২২ বছরের এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর আমঝারা জয়দেবের পোল এলাকায়। জানা গিয়েছে, বছর ২২-এর শুভ মণ্ডল বাজার সেরে একটি টোটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে টোটো থেকে নামার সময় আচমকাই পিছন থেকে একটি মোটরচালিত ভ্যান ধাক্কা মারে টোটোয়। ধাক্কার অভিঘাতে রাস্তায় ছিটকে পড়েন শুভ। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শুভকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ওই টোটোর যাত্রী আরও দু’জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে।