—প্রতীকী চিত্র।
ভোটের ফল বেরনোর পর প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলল। কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত মুর্শিদাবাদে। এ বার তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বহরমপুরের গোয়ালজান। এক দিকে, বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি, অন্য দিকে, তৃণমূল কর্মীদের ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল একে অপরের বিরুদ্ধে। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ল এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বহরমপুর থানার পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল থেকে এলাকায় রুটমার্চ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানা এলাকায় বিজেপি এবং তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়। একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই দলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেখান থেকে শুরু হয় বোমাবাজি। চলে বাড়ি এবং ক্লাবে ভাঙচুর। ভাঙা হয় মোটরবাইক।
উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিছু ক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যান বহরমপুর থানার শীর্ষ আধিকারিকেরা। তার পরে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘ভোট পর্ব জুড়ে সন্ত্রাস চলেছে। সন্ত্রাসকে প্রতিহত করে যে সাধারণ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, তাঁদের এলাকাছাড়া করার চক্রান্ত শুরু করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘রাতে পুলিশের সাহায্যে অবাধে তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা।’’ অন্য দিকে, তৃণমূল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বহরমপুরের তৃণমূল নেতা পাপাই ঘোষ বলেন, ‘‘এলাকা জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। তাদের আশ্রয়, উস্কানি এবং মদত দিচ্ছে বিজেপি। আমরা চাই প্রশাসন গোটা বিষয়টি নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করুক।