নিজস্ব চিত্র
নদিয়ার তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে শো-কজ করলেন তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও। তাঁকে ১৪ দিনের মধ্যে এই শো-কজের উত্তর দিতে বলা হয়েছে বলে খবর ব্লক প্রশাসন সূত্রে। পঞ্চায়েত প্রধান মুক্তি হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকারও বেশি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার প্রেক্ষিতে প্রধান জানান, তিনি ১৪ দিনের মধ্যে উত্তর দিয়ে দেবেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ২১। তার মধ্যে বিজেপির দখলে ১০টি, তৃণমূলের ৭টি, কংগ্রেসের ৩টি এবং সিপিএম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জেতেন ১টি আসনে। তৃণমূল ও কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধান হন সিপিএম সমর্থিত নির্দল মুক্তি হালদার। বেশ কিছু দিন পর কংগ্রেসের সদস্যরা দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দিলেও প্রধান থেকে যান মুক্তি। পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করেন বাকিদের অন্ধকারে রেখে। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার তাঁরা বিডিওর কাছে অভিযোগও জানান। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী তদন্তের পরেই পঞ্চায়েত প্রধানকে শো-কজ় করেন বিডিও শুভাশিস মজুমদার।
এর প্রেক্ষিতে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চায়না মণ্ডল খাঁ বলেন, ‘‘প্রধানের আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা বিডিওর কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্লক প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্তে আমাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে।’’
এই শো-কজ নিয়ে মুক্তি বলেন, ‘‘শো-কজ়ের চিঠি পেয়েছি। ঠিক সময়ে সব কিছুর উত্তর দেব।’’ তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও শুভাশিস মজুমদার বলেন, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যেরা আমার কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়। সেই তদন্তে প্রাথমিক ভাবে আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। সেই কারণে প্রধানকে শো-কজ় করা হয়েছে।’’