—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের। সিপিএম এবং কংগ্রেস চালিত সেই পঞ্চায়েতে ঢুকে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হল পঞ্চায়েত কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল। অভিযোগ উঠল লুটপাটেরও। শুক্রবার এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ৬ নম্বর ভাগীরথপুর পঞ্চায়েত অফিসে। বাম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল। যদিও ওই সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল।
বাম-কংগ্রেসের জোট পরিচালিত ভাগীরথপুর পঞ্চায়েত অফিসে সাধারণ সভা ছিল। পঞ্চায়েতের আগামিদিনের কর্মসূচি, এলাকার কাজকর্ম ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু, ওই পঞ্চায়েতে বিরোধীরা অর্থাৎ, তৃণমূল বেশ কিছু বিষয়ে অমত পোষণ করে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। তার পর চলে ধাক্কাধাক্কি। এর পরেই পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে যান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। অভিযোগ, ওই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরে তৃণমূলের এক নেতা এসে পঞ্চায়েতের ভিতরে গালাগালি শুরু করেন। পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ জোটের পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর গালাগালি শুরু করেন। যদিও পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা ছিল। সেটা পূর্ব নির্ধারিত। সেই অনুযায়ী আমাদের দলের এক জন সদস্য পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন। বিরোধী দলনেতাও যান। আমাদের যে প্রকল্পগুলি নিয়ে দাবি ছিল, সেগুলি লিখিত আকারে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু ওরা (বাম এবং কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যরা) আমাদের মহিলা সদস্য থেকে বিরোধী দলনেতাকে গালাগালি করতে থাকেন।’’
ওই তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁরা কোনও ভাঙচুরে জড়িত নন। তিনি গন্ডগোলের প্রমাণ হিসাবে ভিডিয়ো ফুটেজ দাবি করেন। পাল্টা অভিযোগ করেন, জোট সদস্যরা চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।