রানিনগর ১ পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান লাইলা বিবি। —নিজস্ব চিত্র।
সীমান্তের রানিনগর ব্লকে মঙ্গলবার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা। নিরাপত্তায় মোড়া ছিল ওই পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়াও রানিনগর থানার বিভিন্ন এলাকা। এ দিন তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয় বিরোধীরা। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা প্রধান, উপপ্রধান গঠন করার পরেই উল্লাসে ফেটে পড়েন। মিছিল করে আবির মেখে আনন্দ প্রকাশ করেন তাঁরা। কিন্তু পঞ্চায়েতে বসেই বিরোধীদের দলীয় কার্যালয়ের থেকে পতাকা খুলে ফেলা, সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল বাম-কংগ্রেস জোটের কর্মীদের বিরুদ্ধে। সংবাদ মাধ্যমের এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় রানিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ জানায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাম-কংগ্রেসের নেতারা পতাকা খোলার ঘটনা অস্বীকার করলেও সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
রানিনগরের কালিনগর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও রানিনগর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। উত্তেজনাও ছিল। যদিও এই তিনটে গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধীরা যে ভাবে জয় পেয়েছে তাতে শাসকদলের পক্ষে ভাঙিয়ে আনা বড্ড কঠিন কাজ ছিল বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। ফলে শাসক দল ওই পথে হাঁটেনি। রানিগর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মমতাজ বেগমের দাবি, "বিগত পাঁচ বছর ধরে শাসক দলের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ফলে মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন।’’ রানিনগর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শাহ আলম সরকারের দাবি, ‘‘বেশ কয়েক জন কংগ্রেসের জয়ী পার্থী দেখা করতে এসেছিল, আমরা তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছি মানুষের রায়কে মান্যতা দিতে।’’