খোঁজ মিলল ‘অপহৃত’ তিন জয়ী প্রার্থীর!— নিজস্ব চিত্র।
খোঁজ মিলল মুর্শিদাবাদের নওদার ‘অপহৃত’ সেই তিন পঞ্চায়েত প্রার্থীকে। মঙ্গলবার তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু একটি সূত্রে খবর, ‘অপহরণের রাতে’ দুই কংগ্রেস প্রার্থী এবং এক আরএসপি প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে তাঁদের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দুই রাজনৈতিক দল। বাড়ি ফিরে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিন জন।
অপহরণ করা হয়েছে কংগ্রেস এবং আরএসপি-র তিন জয়ী প্রার্থীকে। এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তিন পরিবার। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লেখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। সোমবার আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয় দ্রুত ওই তিন জনকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে তাঁদের বিডিও অফিসে হাজির করাতে হবে। ওই নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। মঙ্গলবার দুপুরে নওদা থানার পুলিশ বাম-কংগ্রেসের তিন জয়ী পঞ্চায়েত প্রার্থীকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। যদিও অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। উল্লেখ্য, বুধবারই বোর্ড গঠন রয়েছে।
শুক্রবার রাতে বহরমপুরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার একটি বেসরকারি হোটেল থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুর রব মণ্ডল এবং মনিরুল মালিথ্য এবং আরএসপি প্রার্থী কবিরুল মণ্ডলকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁরা বোর্ড গঠন পর্যন্ত আত্মগোপন করতেই হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে দাবি করে দুই পরিবার। কিন্তু রাতে খাবার খেতে বেরলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যরা এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয়। পুলিশ তিন ‘অপহৃত’কে উদ্ধার করে। বহরমপুর জেলা আদালতের সিজিএমের নির্দেশে তাঁদের বহরমপুর থানার পুলিশের হেফাজতে তুলে দেওয়া তাঁদের। সেখান থেকে তাদের নওদা থানার পুলিশের মাধ্যমে বাড়ি পাঠানো হয়।
এ নিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। অপহৃত তিন জনকে তারা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।’’ অন্য দিকে, তৃণমূলের বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। তৃণমূলের এখানে কোনও কিছু বলার নেই।’’ পাশাপাশি, অপহরণের অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি।