ফেসবুকে ‘মমতা’র নাম করে খুনের হুমকি দিলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেনি। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে হালকা ভাবে দেখতে নারাজ। বুধবারই অভিযুক্ত শিক্ষক নির্মাল্য চক্রবর্তীর কাছ থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছেন জেলার প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক সুকুমার পশারি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপও করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দেওয়ার ওই অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণগঞ্জের খারবাগান প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নির্মাল্যের বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়ি সত্যনগর এলাকায়। তৃণমূলের অভিযোগ, ফেসবুকে সুজিতকুমার দে নামে এক জনের পোস্টে কমেল্ট করতে গিয়ে তিনি লেখেন: “প্রাণ চলে গেলে তার পর টিআরপি? আমি ... মমতাকে মার্ডার করে দেব। কে কে সাথ দেবেন বলুন।” কৃষ্ণগঞ্জ থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক যুব সভাপতি গোপালচন্দ্র ঘোষ।
যদিও মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তিনি দাবি করেন, আদৌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, তিনি আসলে ‘মমতাময়ী’ বোঝাতে চেয়েছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে বুধবার খারবাগান স্কুলে যান জেলার প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক। কিন্তু এ দিন স্কুলে আসেননি নির্মাল্য। পরে তাঁকে কৃষ্ণগঞ্জের মহকুমা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। জেলা পরিদর্শক তাঁকে কঠিন ভাষায় সতর্ক করেন। তার পরেই নির্মাল্য লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নেন। এমন মন্তব্য আর করবেন না বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমার যদি কোথাও ভুল হয়ে থাকে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”