পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের দাবি, প্রতিশোধ নিতেই মনগড়া অভিযোগ করছেন স্বামী। নিজস্ব চিত্র।
মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন। আর তারই ‘প্রতিশোধ’ নিতে স্বামী মিথ্যা বলছেন। শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে প্রাথমিকে শিক্ষিকা পদে চাকরি পাওয়ায় অভিযুক্ত পাপিয়া মুখোপাধ্যায়। তাঁর স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাসের দাবি ছিল, স্ত্রী পাপিয়া টেটে উত্তীর্ণ হতে পারেননি। বাগদার বাসিন্দা ‘রঞ্জন’কে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে স্কুলে চাকরি পান।
সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের একটি পুরনো ভিডিয়ো সামনে এসেছিল। সেখানেই ‘রঞ্জন’-এর কথা বলেছিলেন উপেন। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বহু চাকরিপ্রার্থীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছে এই ‘রঞ্জন’ (আনন্দবাজার অবশ্য ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে ভিডিয়োটি যে তাঁরই, তা অস্বীকার করেননি উপেনবাবু।) রঞ্জনের প্রকৃত নাম-ধাম প্রকাশ করেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তির আসল নাম চন্দন মণ্ডল।
নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে এ বার মুখ খুললেন টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনায় অভিযুক্ত পাপিয়া। তিনি বলেন, ‘‘স্বামী যা বলছেন সব মিথ্যা। আমি নিয়ম মেনেই চাকরি পেয়েছি।’’
পাপিয়া দাবি করেছেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিন ধরে অশান্তি চলছে। মামলা পৌঁছেছে আদালতেও। তাই স্বামী তাঁর নামে যা বলেছেন সব মিথ্যা। পাপিয়ার আরও দাবি, ২০১২-র টেটে তিনি আদৌ বসেননি। কারণ সেই সময় তাঁর সন্তান ছোট ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে ছেলেকে সঙ্গে করেই টেট দিয়েছিলেন।
জয়ন্তের দাবি ছিল, স্ত্রী পাপিয়া ২০১২-য় টেট পাশ করেননি। ২০১৪-য় পরীক্ষাতেই বসেননি। তা-ও ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পান। এ জন্য সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার চন্দন ওরফে রঞ্জনকে। জয়ন্তর আরও অভিযোগ ছিল, তিনি তাঁর বাবার অবসরকালীন ভাতা থেকে টাকা এনে স্ত্রীর হাতে দিয়েছিলেন। সেই টাকার বিনিময়েই স্কুলে চাকরি পান পাপিয়া। যদিও স্বামীর তোলা সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন পাপিয়া।