বৈশাখের দুপুরে। বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
বৈশাখের শেষে তীব্র রোদ-গরমে নাজেহাল জেলাবাসি। ইতিমধ্যে ১০ থেকে ১২ মে পর্যন্ত জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। সূর্যোদয়ের পরপরই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। সূর্যাস্তের পরও ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল জেলাবাসী। বুধবার (দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৪ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে কমপক্ষে আরও কয়েক দিন জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝড়বৃষ্টি হলে তখন তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে মত আবহাওয়াবিদদের। মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আবহাওয়া দফতরের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ সাগ্নিক দাস বলেন, ‘‘গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে। আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে গরমও বেশি অনূভুত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন এরকম চলবে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।’’
মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় ১০ দিনের ব্যবধানে সেই তাপমাত্রা বেড়েছে কমপক্ষে ৭ ডিগ্রি। গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ছিল ২৪.৬ থেকে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিনে বেলা একটা থেকে দুটোর মধ্যে তাপমাত্রা থাকছে সর্বাধিক।
উল্লেখ্য বৈশাখের প্রথম দিকে জেলায় তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ৪৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একাধিক বার বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। এপ্রিলের শেষের ঝড়বৃষ্টির, কোথাও শিলাবৃষ্টির পরে পারদ কিছুটা নেমেছিল। গত কয়েক দিন ধরেই ফের পারদ ঊর্ধ্বমুখী বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদেরা। এই পরিস্থিতিতে পাট, তিল সহ খেতের অন্যান্য ফসল বাঁচাতে অতিরিক্ত সেচ দিতে হচ্ছে বলে দাবি চাষিদের। মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ আবু তালেব বলেন, ‘‘খেতের ফসল বাঁচাতে খুব সকালে ও সন্ধ্যায় সেচ দিতে হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে তা জীবনদায়ী সেচের কাজ করবে।’’গরমের কারণে সকাল আটটার পর বাইরে বেরোনো কঠিন হয়ে পড়ছে বলে মত জেলাবাসীর একাংশের।