তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। ফাইল চিত্র।
সিবিআই এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহারই করেছে বলে জানালেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। তাঁকে আবার হাজিরা দিতে বলা হয়নি এখনও। তবে বুধবার তেহট্টে ফেরেননি তাপস। আপাতত তিনি কলকাতাতেই রয়েছেন।
সিবিআই ঠিক কী জানতে চেয়েছে তাঁর কাছে?
বুধবার তাপস জানান, তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন কি না, সেই বিষয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়েছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রবীর কয়ালকে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং গত সপ্তাহে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত বড়ঞ্চার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তিনি চিনতেন কি না, তা-ও জানতে চান সিবিআই অফিসারেরা। সেই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুতে তাপসের ছেলে সাগ্নিক সাহার দেওয়া বয়ানের বিষয়েও।
স্কুল ও সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠায় এর আগে তাপসের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রবীর কয়ালকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা। আপাতত তিনি জামিনে ছাড়া আছেন এবং অন্তত এক কোটি টাকা তিনি তাপসকে তুলে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।
হাওড়ার শ্যামপুর ও নদিয়ার তেহট্টে প্রবীরের বাড়িতে শুক্রবার হানি দিয়েছিল সিবিআই। তাঁর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তাপস কোনও দিনই স্বীকার করেননি যে প্রবীর তাঁর ঘনিষ্ঠ, তাঁর থেকে টাকা নেওয়া তো দূরস্থান। উল্টে প্রবীরের জন্য তার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও দাবি করেন বিধায়ক। এ দিন ফোনে তিনি বলেন, “প্রবীর কয়ালকে আমি চিনি কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমি জানিয়েছি, আর পাঁচটা তৃণমূল কর্মীর মতোই তাকে আমি চিনতাম।”
গত শুক্রবার তাপসের তেহট্টের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শনিবার সকালে ফিরে গিয়েছিল সিবিআই। সেই স্বস্তির রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার রাতে তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে পরের দিনই কলকাতায় নিজ়াম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। বেলা ১২টা থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তিনি সেখান থেকে ছাড়া পান। এ দিন তিনি জানান, বর্তমানে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ধৃত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তাপস বলেন, “সিবিআইকে জানিয়েছি, দু’জনকেই আমি চিনতাম।”
তাপস জানান, নিজ়াম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তাঁর সঙ্গে কোনও দুর্ব্যবহার করা হয়নি। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আর তো ওরা যেতে বলেনি, নোটিসও পাঠায়নি।”