সুতপা চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের মামলায় দুই পুলিশকর্মী-আধিকারিক-সহ তিন জন সাক্ষ্য দিলেন। শনিবার বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি (ফাস্ট ট্র্যাক) আদালতের অতিরিক্ত ও জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠকের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। এই তিন জনকে নিয়ে এই মামলার মোট ৯ জন সাক্ষ্য দিলেন। শনিবার এই মামলার সাক্ষীদের জেরা করেছেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ। সরকারপক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন। গত বছর ওইদিনেই সুতপা খুন হয়েছিলেন। এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চাইছেন জেলার বাসিন্দারা।
বহরমপুর থানার পুলিশ আধিকারিক অশোক কুমার সরকার সুতপার মৃতদেহের সুরতহাল করেছিলেন। এ দিন তিনি আদালতে সাক্ষ্য দেন। অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ কনস্টেবল রাজকুমার ঘোষের সামনে তার কাছ থেকে রক্তমাখা ছুরি, খেলনা পিস্তল, রক্তমাখা পোশাক, জুতো বাজেয়াপ্ত করেছিলেন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার।
আর বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসের তালিকায় (সিজার্স লিস্ট) সই করেছিলেন রাজকুমার। এ দিন সে বিষয়ে তিনি আদালতকে তথ্য দেন। সুতপার বোন পিয়সী চৌধুরীও মালদহ থেকে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সুতপার সঙ্গে সুশান্তর বন্ধুত্বের সম্পর্কে থাকা, পরে দু’জনের বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ সম্পর্কে সব কথা আদালতকে জানান পিয়সী। সুশান্ত সুতপাকে উত্ত্যক্ত করত, তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিল বলেও সাক্ষ্যে জানান পিয়সী। সুতপা যে তিতিবিরক্ত হয়ে এক সময়ের ‘বন্ধু’র সুশান্তের বিরুদ্ধে মালদহ মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সে কথাও পিয়সী জানান আদালতে। প্রসঙ্গত, মালদহের বাসিন্দা সুতপা চৌধুরী বহরমপুরের গোরাবাজারের একটি মেসে থেকে বহরমপুর গার্লস কলেজে পড়াশোনা করতেন। গত বছর ২ মে মেসের সামনেই খুন হন তিনি সুতপা। ভরসন্ধ্যায়ব্যস্ত রাস্তায় এমন নৃশংস খুনে কেঁপে গিয়েছিলেন রাজ্যবাসী। সুতপাকে খুনের অভিযোগে বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছে সুশান্ত।