Post Poll Violence

ভোট পরবর্তী ‘হিংসায়’ প্রথম জামিন! কৃষ্ণনগরের চার তৃণমূল কর্মীর আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট

২০২১ সালের ১৪ জুন ভোরে খুন হন কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার মনীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল। অভিযোগ, বাড়ি থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে কোপানো হয়। পরে গুলি করে খুন করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২৩
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ মামলায় গ্রেফতার হওয়া নদিয়ার চার তৃণমূল কর্মীকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন বছর আগে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০২১ সালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার বাসিন্দা আপ্পু মুখোপাধ্যায় ওরফে বাবুসোনা, আজহার শেখ, রাজেন্দ্র শর্মা, সুরেশ পারসি ওরফে লালা। তাঁদের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। সোমবার ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ সিবিআইয়ের কাছে জানতে চায় তিন বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পরেও কেন সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হল না? তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

সিবিআই অবশ্য ওই চার অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু বলেন, ‘‘খুনে অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে যথেষ্ট চিন্তাভাবনার অবকাশ রয়েছে।’’ তিনি জানান, চার অভিযুক্ত অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। তার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। যদিও দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণনগরের চার তৃণমূল কর্মীর জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী ‘হিংসা’ মামলায় এটাই প্রথম জামিন বলে দাবি করেছেন চার তৃণমূল কর্মীর আইনজীবীরা। মক্কেলদের জামিন চেয়ে বেশ কিছু যুক্তি খাড়া করেছিলেন তাঁরা। আইনজীবী লিটন মিত্র এবং আইনজীবী সৌভিক মিত্র বলেন, ‘‘তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে। তবে ৭৩ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ছ’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়েছে।’’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ জুন ভোরে খুন হন কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার মনীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল। অভিযোগ, বাড়ি থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে কোপানো হয়। পরে গুলি করে খুন করা হয় পলাশকে। পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকায় বোমাবাজিও করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার চার জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’র অভিযোগে নদিয়া জেলায় মোট ২৯টি এফআইআর দায়ের হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement