বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় মহারাষ্ট্রের কিশোরের দেহ। — প্রতীকী চিত্র।
দু’দিন আগেই জন্মদিন ছিল। জন্মদিনের উপহার হিসাবে মায়ের কাছে নতুন একটি মোবাইল চেয়েছিল কিশোর। কিন্তু সেই আবদারে রাজি হননি কিশোরের মা। তাতেই আত্মঘাতী কিশোর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায়। মৃত কিশোরের নাম বিশ্বজিৎ রমেশ চামাদনওয়ালে (১৫)।
সাংলির মিরাজ শহরে পরিবারের সঙ্গে থাকত ওই কিশোর। শুক্রবার তার জন্মদিন ছিল। তার আগে থেকেই মায়ের কাছে নতুন মোবাইলের জন্য আবদার শুরু করেছিল সে। পরিবারের বিশেষ আর্থিক সচ্ছলতা ছিল না। সন্তানের আবদার তাই পূরণ করতে পারেননি মা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আর্থিক সমস্যার কারণে ছেলেকে নতুন মোবাইল কিনে দিতে রাজি হননি। এর পরে রবিবার সকালে বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় কিশোরের দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতের দিকে ঘটনাটি ঘটেছিল। বাড়িতে তখন কিশোরের মা এবং দিদি উভয়েই ঘুমোচ্ছিলেন। সবার অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের সদস্যেরা তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কী ভাবে কিশোরের মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, নতুন মোবাইল না পাওয়ার অভিমানেই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে ওই কিশোর। তবে সম্ভাব্য সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে আরও কিছুটা স্পষ্ট ধারণা মিলতে পারে বলে মনে করছে পুলিশের তদন্তকারী দল।