Students

বাবা-মাকে অক্ষর চেনালেই বাড়তি নম্বর পরীক্ষায়

তবে নিরক্ষরদের সাক্ষর করে তোলার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উৎসাহদানই শুধু নয়। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের বইমুখী করে তোলার বিষয়েও উদ্যোগী হয়েছে ওই স্কুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০৫
Share:

বাড়ি বাড়ি ঘুরে বই সংগ্রহ পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র

অক্ষরজ্ঞান হয়নি এমন কাউকে সাক্ষর করে তুলতে পারলেই পরীক্ষায় মিলবে বাড়তি নম্বর। এলাকায় শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে শনিবার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রঘুনাথগঞ্জের খড়িবোনা হাইস্কুল।

Advertisement

তবে নিরক্ষরদের সাক্ষর করে তোলার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উৎসাহদানই শুধু নয়। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের বইমুখী করে তোলার বিষয়েও উদ্যোগী হয়েছে ওই স্কুল। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে বই পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারও চালু হয়েছে সম্প্রতি। গত এক সপ্তাহ ধরে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ছাত্রছাত্রীরাই গ্রন্থাগারের জন্য বই সংগ্রহ করতে নেমে পড়েছে। গ্রামবাসীদের দেওয়া ১৫২টি বই নিয়ে আপাতত চালু হয়েছে গ্রন্থাগার।

ঘনবসতিপূর্ণ হলেও পিছিয়ে পড়া এলাকা বলেই পরিচিত দফরপুরের খরিবোনা গ্রাম। তিনটি সংসদে প্রায় ৯ হাজার মানুষের বাস। শিক্ষার হারেও অনেক পিছিয়ে গ্রাম। ২০০১ সালে গ্রামের এক গাছতলায় প্রথম স্কুল চালু হয়েছিল। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেই স্কুল ৩৭ জন স্কুলছুট ছাত্রছাত্রী ও দু’জন শিক্ষককে নিয়ে চালু হয়েছিল। এখন সেই স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা বারোশো ছাড়িয়েছে। ৩২ জন শিক্ষক। এ বছরই একাদশ শ্রেণির অনুমোদন পেয়েছে স্কুল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের প্রায় ৬০ শতাংশই নিরক্ষর। এটা পাল্টাতে চাইছি আমরা। সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নিরক্ষর বাবা-মা কিংবা কোনও পড়শিকে সাক্ষর করে তুলতে পারলেই কর্মশিক্ষায় বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে। কারও বাবা-মা সাক্ষর হলে গ্রামের কাউকে অক্ষর চেনাতে পারলেই হবে।’’

Advertisement

তিনি জানান, এত বড় গ্রামে কোনও গ্রন্থাগার নেই। সেই কারণেই ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার তৈরির ভাবনা। সেটি চালাবে পড়ুয়ারাই। প্রতি শনিবার বইয়ে ভরা চাকা গাড়ি পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়ি। রহমত শেখ এক গ্রামবাসী বেশ কয়েকটি বই দান করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ ভাল উদ্যোগ। তাই বই কিনতে কার্পণ্য করিনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement