চাঁদেও যাব, সংস্কারও মানব!

ছোট ছোট বাচ্চারা  শিক্ষাঙ্গনে যাচ্ছে মনে ধর্মের বিষ নিয়ে, কোথায় পরস্পরের টিফিন কাড়াকাড়ি করে ভাগাভাগি করে খাবে, এক সঙ্গে হুটোপুটি করবে ঝগড়া করবে আবার ভালবাসবে, পরস্পরের পাশে দাঁড়াবে, তবেই না। তা না করে ওইটুকু বাচ্চারা অন্য ধর্মের হাতে রান্না বলে খাবার থেকে মুখ ফেরাচ্ছে।

Advertisement

মুজিবর রহমান

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৫২
Share:

রামডোবা আর বসন্তপুর এখনও সেই কবেকার সংস্কার বয়ে নিয়ে চলেছে! ধর্মের নামে মিডডে মিলের পৃথক পাত পড়ছে, ভাবা যায়! মুসলমান আর হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা পাশাপাশি বসে না, তাদের জন্য দুপুরের খাবার আলাদা আলাদা রান্না হয়। শুনেই বড় খারাপ লাগছে। আমরা চন্দ্রযান নিয়ে গর্ব করছি আর ধর্ম নিয়ে ছুঁৎমার্গ টিঁকিয়ে রাখছি— দু’টো কখনও এক
সঙ্গে চলে!

Advertisement

ছোট ছোট বাচ্চারা শিক্ষাঙ্গনে যাচ্ছে মনে ধর্মের বিষ নিয়ে, কোথায় পরস্পরের টিফিন কাড়াকাড়ি করে ভাগাভাগি করে খাবে, এক সঙ্গে হুটোপুটি করবে ঝগড়া করবে আবার ভালবাসবে, পরস্পরের পাশে দাঁড়াবে, তবেই না। তা না করে ওইটুকু বাচ্চারা অন্য ধর্মের হাতে রান্না বলে খাবার থেকে মুখ ফেরাচ্ছে।

পডুয়ারা ধর্ম বা ধর্মীয় অনুশাসন নিয়ে মাথা ঘামাবে কেন? অভিভাবকেরাই বা কি করছেন। বুঝে না না-বুঝে এত বড় একটা ভুল করে চলেছেন তাঁরা। স্কুলের অঙ্গনে এমন ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমাদের জেলা ও রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তো এমন নয়। ধর্মীয় পরিবেশ সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের বলেই তো জানি। জেলায় আর কোথাও এমন
তো শুনিনি।

Advertisement

উদাহরণ হিসেবে আমার স্কুলের কথাই ধরা যাক, কাবিলপুর হাইস্কুলের তিন হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে হিন্দু-মুসলমানের অনুপাত হল ১০:৯০। এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। কিন্তু বলতে গর্ব হয় যে প্রধানশিক্ষক হিসেবে গত এগারো বছরে পড়ুয়াদের মধ্যে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে একটাও অপ্রীতিকর ঘটনা তো দূরের কথা কোনও মন্তব্যের নালিশও শুনতে হয়নি।

(লেখক: প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement