মেহবুব আলম।
মেলা দেখতে এসে ভোজালির কোপে খুন হল এক ছাত্র। মৃত ছাত্রের নাম মেহেবুব আলম (১৭)। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তার সহপাঠী নাইস শেখ।ঘটনাটি রবিবার রাতে, ভগবানগোলার খুলারপুকুরের অন্ধকার এক আম বাগানে।
জেলা পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব বলেন, ‘‘মেলার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে মেহেবুব ফোনে কথা বলছিল সঙ্গে নাইসও ছিল। ওরা ফোনে কথা বলতে বলতেই মেলার পিছনের আমবাগানের দিকে যায়। যে ফোন করেছিল সে চেনা পরিচিত বলেই মনে হয়। বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেহেবুব ও নাইস দুজনেই লালগোলা বালুটুঙ্গি হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। এ বছর তাদের উচ্চামাধ্যমিক দেওয়ার কথা। লালগোলা চাঁদেরপাড়ার বাসিন্দা মেহেবুব। নাইসের বাড়ি লালগোলার রাধাকান্তপুরে। দু’জনেই দর্জি পরিবারের ছেলে।
রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বাড়ি থেকে মেহেবুব। বাড়িতে মেহেবুবের মা’কে বলে যায়, সন্ধ্যা নাগাদ নাইসের সঙ্গে মেলায় যাবে সে। ভগবানগোলা দাদাপির মেলার হিসেব রক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘‘রবিবার রাতে যখন মাজারের সামনেই ছুটে আসতে দেখি নাইসকে। এসেই বলে, ‘বাঁচান কয়েকটা ছেলে ভোজালি দিয়ে মারছে। আমার বন্ধু আমবাগানে পড়ে আছে।’’ মেলা কমিটির সদস্যরা নাইসকে নিয়ে কানাপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান। মেলায় থাকা পুলিশ কর্মীরা আমবাগানে গিয়ে মেহবুবের দেহ তুলে নিয়ে আসে।
এ দিন মেহেবুবের মা আলিয়া বিবি বলেন, ‘‘কারা এমনটা করল কেন করল বুঝতে পারছি না। বিকেলে বাড়ি থেকে আমাকে বলেই বেরিয়েছিল। তার আগে ওর একটা ফোন এসেছিল। রাতে খবর এল এই ঘটনা।’’
তবে খুন পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে বলে অনুমান জেলা পুলিশে। এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘খুনের পর ঘটনাস্থল থেকে মেহেবুব ও নাইসের ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুনের দিন দুপুরের পর থেকেই একটি নম্বর থেকে বেশ কয়েকবার ফোন আসে মেহেবুবের। ওই নম্বরেই কথা বলতে বলতেই আম বাগানের দিকে গিয়েছিল মেহেবুব ও নাইস। সেই মোবাইলের নম্বরের সূত্র ধরেই খুনির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।’’