— প্রতীকী চিত্র।
মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন মা ও দাদু। সেই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সৎ বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে, ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও, নাবালিকা অসুস্থ বোধ করায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মা। তাতেই সত্যি প্রকাশ্যে আসে। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার মা। অভিযুক্ত সৎ বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত পলাতক, তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
হরিহরপাড়া থানার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু স্বামীর স্বভাব-চরিত্র তাঁরও ভাল লাগত না। তাই, অজানা আশঙ্কায় চোখে চোখে রাখতেন নাবালিকা মেয়েকে। তবু শেষ রক্ষা হল না। বুধবার মেয়েকে বাড়িতে একা রেখেই চিকিৎসকের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন নির্যাতিতার মা। অভিযোগ, সেই সুযোগে নাবালিকা মেয়েকে জোর করে একাধিক বার ধর্ষণ করেন তারই সৎ বাবা।
নির্যাতিতা জানিয়েছে, বাড়িতে কেউ ছিল না। খাবার দেওয়ার অছিলায় বাবা তাকে ঘরে ডেকে নেন। তার পর জোর করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। বাধা দিতে গেলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। তার পর বেশ কয়েক বার ধর্ষণ করা হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। ঘটনার কথা জানাজানি হলে মা ও তাকে খুনের ভয়ও দেখান অভিযুক্ত। মা বাড়িতে ফেরার পর অসুস্থতার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই মুখ খোলে নির্যাতিতা। এ দিকে কীর্তির কথা জানাজানি হয়েছে বুঝে চম্পট দেন অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সৎ বাবার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। বুধবার রাত থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করছেন তদন্তকারীরা। পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।