জেলা সভাপতি বদল হয়েছে কিছু দিন আগে। তবে, দলের অন্দরে কোন্দলের ক্ষত সারেনি। বরং পঞ্চায়েত ভোটের আগে, তা ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। এই অবস্থায়, কোন্দল সামাল দিতে নব্য পথ্যের ব্যবহার শুরু করল রাজ্য নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার, জেলায় চার মহকুমার দায়িত্ব দেওয়া হল চার নেতাকে। তার মধ্যে সদ্য জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া উজ্জ্বল বিশ্বাসকে দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার দায়িত্ব। জেলা সভাপতি পদের দাবিদার ছিলেন অন্তত তিন জন।
এ দিন তাই, জেলা নেতাদের নিয়ে বিধানসভায় নিজের ঘরে আলোচনায় বসেন, নদিয়ার পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে বিধায়কদের পাশাপাশি ছিলেন বিধানসভা ভোটে পরাজিতরাও। উজ্জ্বলকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি অজয় দে, পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, কল্লোল খাঁ-কে কার্যকরি সভাপতি করা হয়।
এ দিন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য অজয়কে কল্যাণী, পুণ্ডরীকাক্ষকে রানাঘাট এবং কল্লোলকে তেহট্ট মহকুমার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ দিন পার্থবাবু পরিষ্কার করে দেন, পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে মহকুমার যাবতীয় দায়িত্ব এঁরাই সামলাবেন।
পার্থবাবু এ দিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, পঞ্চায়েত ভোটে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা তা করবেন বা মদত দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।
ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে বা তাঁদের জানিয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রতি মহকুমায় ব্লক সভাপতি, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য, অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতা। পরে প্রতিটি মহকুমায় আলাদা করে বৈঠক করবেন পার্থবাবু নিজে।
জেলার এক কার্যকরি সভাপতির কথায়, “মূলত গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। নেতাদের এলাকা ভাগ করে দেওয়াই নয়, টিকিট দেওয়ার বিষয়টা যাতে আলোচনার মাধ্যমে হয়, সেই নির্দেশও দেন পার্থবাবু।’’
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এ ব্যাপারে বড় সভা হবে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তার আগে ছোট ছোট সভা করে সেই জমি তৈরি করাই এ দিন শুরু করে দিলেন জেলা পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এমনই মনে করছেন জেলা নেতৃত্ব।