প্রাকশ্যে অডিয়ো ক্লিপ। প্রতীকী চিত্র।
‘তাপস সাহা’ নাম বলে স্কুলে চাকরির জন্য টাকার কথা আলোচনার অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আসায় দলের জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিক সাহারই হাত দেখছেন তেহট্টের বিধায়ক। এতে দুর্নীতির অভিযোগ তো বটেই, তৃণমূলের কোন্দলও ফের প্রকাশ্যে এসেছে।
বুধবার বিজেপির তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ওই অডিয়ো ক্লিপটি টুইট করেন। আনন্দবাজার সেটির সত্যতা যাচাই করেনি। সেখানে ‘তাপস সাহা বলছি’ বলে নিজের পরিচয় দিয়ে এক জন আশ্বাস দেন, টাকা মার যাবে না, খুব তাড়াতাড়ি প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারির নিয়োগ-তালিকা বেরিয়ে যাবে। এ দিন তাপস অবশ্য গোটা বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করেন, “ওই গলা আমার নয়। চাকরির বিষয়ে কোনও কথাও হয়নি। চক্রান্ত করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে।” কে চক্রান্ত করল? তাপসের দাবি, “সিপিএম, বিজেপি ও তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা চক্রান্ত করে এই সব কাজ করেছে।”
বিজেপি উত্তরের জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস পাল্টা বলেন, “এটা তো নতুন কিছু নয়। নিজের দলের কর্মী, নেতা সবার কাছ থেকেই চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন তিনি। মানসম্মান থাকলে কর্মীদের টাকা ফেরত দিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত ওঁর।” সিপিএমের তেহট্ট দক্ষিণ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, “দুর্নীতি ঢাকার জন্য সিপিএমের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বিধায়ক। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।”
টিনার সঙ্গে তাপসের ‘মধুর সম্পর্ক’ কার্যত সর্বজনবিদিত। চক্রান্ত-তত্ত্ব শুনে টিনা পাল্টা বলেন, “আমায় বারবার টেনে উনি কী প্রমাণ করতে চাইছেন? ক্ষমতা থাকলে রাস্তার মোড়ে এসে বলুন, টাকা নিইনি।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “আমি রাস্তায় নামলে উনি মুখ দেখানোর জায়গা পাবেন না। আর দল কারও পাপের বোঝা বইবে না।”
বিধায়কের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এবং তাপস-টিনা প্রকাশ্য বিবাদ নিয়ে দল কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে।” তাপস-টিনা আকচাআকচি প্রসঙ্গে তিনি কোনও রকম মন্তব্য করতে চাননি।