Congress

লাল-সবুজ জোটের সিলমোহরেও ভ্রুকুঞ্চন

বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসের নিচু তলায় কিছু প্রশ্ন ছিল। দলীয় নেতাদের একাংশের নিঃশব্দ দাবি ছিল- মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস একাই একশো।

Advertisement

বিদ্যুৎ মৈত্র 

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

আসন্ন নির্বাচনে সমস্ত ভ্রুকুটির অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বামেদের সঙ্গে জোতে গাটঁছড়া বাধল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার হাইকমাণ্ডের ছাড়পত্র পেয়ে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূলের বিরুদ্ধে আসন্ন বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ে বামেদের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।”

Advertisement

রাজ্যে কংগ্রেসের খাস তালুক হিসেবে মুর্শিদাবাদের পরিচিতি বহু দিনের এবং তা যে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর সৌজন্যে তা ডান বাম দু’পক্ষের কাছেই পরিষ্কার। সেইজন্য এই জেলায় বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসের নিচু তলায় কিছু প্রশ্ন ছিল। দলীয় নেতাদের একাংশের নিঃশব্দ দাবি ছিল-এ জেলায় কংগ্রেস একাই একশো। এখানে বামেদের সঙ্গে জোট করাই শ্রেয়। এমত অতীতে অধীরও পোষণ করেছেন বারংবার। হাইকমান্ডের নির্দেশ ভেঙে কখনও বা নির্দল প্রার্থীও দিয়েছেন অধীর। তবে এ বার সে সম্ভাবনা কম।

বামেদের মধ্যেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কিছু অস্বস্তি ছিল। তবে এদিন বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক নৃপেন চৌধুরী বলেন, “একদিকে দলকে রক্ষা করা অন্যদিকে কেন্দ্রে বিজেপি এবং রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপিকে ঠেকানোই আমাদের লক্ষ্য। সেটা একক ভাবে আমরা করতে রাজি। যদি কেউ সেখানে আসতে চায় আসতে পারে। ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র বজায় রাখতে আমাদের স্বাগত। তবে নির্বাচনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের কোন প্রশ্নই আসে না।” বামফ্রন্টের মেজ সেজ শরিকেরা ইতিমধ্যেই বড় শরিকে সিপিএমের কাছে আসন দাবি করতে শুরু করেছে। জোটে তারা কতটা আগ্রহী সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বাম কংগ্রেস জোট জেলায় কতটা সাফল্য পাবে তা নিয়েও ভ্রুকুঞ্চন রয়েছে। গতবার জেলার ২২টি আসনের মধ্যে ১৪টি দখল করেছিল কংগ্রেস। চারটি করে আসন পেয়েছিল বাম এবং তৃণমূল। কংগ্রেস এবারেও আশাবাদী। তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলছেন, “বামেদের হাতে কংগ্রেস কর্মীদের মার খাওয়ার কথা অধীর চৌধুরী ভুলে যেতে পারেন কিন্তু যারা মার খেয়েছিল তারা ভুলবে কি করে? এই জোট ওদের ক্ষেত্রে বুমেরাং হয়ে তৃণমূলের ভোট বাড়াবে।” আসন সমঝোতার চোরা দ্বন্দ্বে অবশ্য বিজেপি শিবির কিঞ্চিত লাভবান হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষের দাবি, “বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়বে বই কমবে না।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement