ভোটের বাজারে বিশেষ মিষ্টি মুর্শিদাবাদের বাজারে। —নিজস্ব চিত্র।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। কোথাও লড়াই ত্রিমুখী, কোথাও আবার ভোটযুদ্ধ চতুর্মুখী হওয়ার আভাস। ভোটারদের মন জয় করার জন্য ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা প্রচারে ঝড় তুলেছেন। গণতন্ত্রের উৎসবে ‘বাজারও’ প্রস্তুত। এখন বিভিন্ন দলীয় প্রতীক আঁকা ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের সন্দেশ বিক্রি হচ্ছে নবাবের শহরে। মিষ্টির বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে ঘাসফুল, কাস্তে-হাতুড়ি, পদ্ম আঁকা মিষ্টি। বিক্রির পরিসংখ্যান দেখে ‘ভোটের হাওয়া’ কোন দিকে তার আভাস দিলেন দোকানদারেরা। মিষ্টিগুলোর মধ্যে দিয়ে নির্বাচনে ‘সম্প্রীতির বার্তা’ পৌঁছে দিতে চাইছেন বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গা যেমন, বহরমপুর, ডোমকল ইত্যাদি জায়গায় মিষ্টির দোকানে এখন বিভিন্ন দলীয় প্রতীক আঁকা মিষ্টির এখন রমরমা।
বহরমপুরের একটি মিষ্টির দোকানে জোড়াফুল থেকে শুরু করে পদ্ম, হাত এবং কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্নের মিষ্টির জন্যই আলাদা করে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। সেই সব মিষ্টি কেবল রাজনৈতিক দলের কর্মী এবং সমর্থকেরাই নন, সাধারণ মানুষও কিনছেন। বিক্রেতার কথায়, ‘‘মিষ্টিময় ভোটের বার্তা দিতে এই প্রচেষ্টা।’’ তা কোন প্রতীকের মিষ্টির চাহিদা বেশি? সরাসরি জবাব না দিলেও বিক্রির পরিসংখ্যান ধরে ভোটের হাওয়া বলেছেন ওই বিক্রেতা।
চিকিৎসার খরচ বিস্তর, অবসাদে আত্মঘাতী দম্পতি! বাঁকুড়ায় জোড়া দেহের পাশে মিলল বিষের শিশি
আরও কয়েক জন মিষ্টি দোকানের মালিক এবং কারিগরদের কাছ থেকে জানা গেল ভ্যানিলা, ম্যাঙ্গো, অরেঞ্জ এবং পেস্তা ‘ফ্লেভারে’ তৈরি হচ্ছে জোড়াফুলের প্রতীক আঁকা সন্দেশ, কেশর ব্যবহার হচ্ছে গেরুয়া রঙের মিষ্টিতে। তার উপর বিজেপির প্রতীক পদ্ম আঁকা। স্ট্রবেরি মিষ্টিতে স্থান পেয়েছে সিপিএমের কাস্তে-হাতুড়ি-তারা। আর সব মিষ্টিই রাখা হয়েছে একই ট্রেতে। দাম পড়ছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। জানা যাচ্ছে, বহরমপুর কেন্দ্রে ক্রেতাদের বেশি পছন্দ জোড়াফুল এবং পদ্ম ফুল আঁকা মিষ্টি। কাস্তে-হাতুড়ি প্রতীক দেওয়া সন্দেশ বেশি কিনছেন ডোমকল এবং জলঙ্গি এলাকার লোকজন। বহরমপুরের মিষ্টি বিক্রেতা সুমনকল্যাণ ঘোষের কথায়, ‘‘দলীয় প্রতীক আঁকা সন্দেশ তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য হল মিষ্টিময় ভোটের বার্তা দেওয়া। বিক্রির পরিসংখ্যান অনেকটা ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে স্পষ্ট কিছু বলব না।’’ বিক্রেতাদের বার্তা, ভোট হোক উৎসবমুখর এবং মিষ্টিময়।