মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
‘‘আমরা ৪২ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। ১১ লক্ষ লোক ডিসেম্বরে ৬০ হাজার টাকা পাবেন। প্রথম কিস্তির টাকা শেষ হলে দ্বিতীয় কিস্তিতে আবার ৬০ হাজার টাকা পাবেন। আমরা করে দেব আবাস। এদের শুধু বিদায় করুন। কেউ আর উদ্বাস্তু থাকবেন না। সবাই পাট্টা পেয়ে যাবেন।’’
‘‘বিজেপি যাক, আপনারা চান তো? সার্ভে বিশ্বাস করবেন না। আমাদেরও ২০১৬ সালে হারিয়ে দিয়েছিল। সারা দেশের লোক ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। দেশটাকে গণতন্ত্রের জেলখানা করে দিয়েছে। মোদী যদি জেতেন, আর নির্বাচন হবে না।’’
‘‘সকালে উঠলে ওনার ছবি। চান করতে গেলে দেখবেন ওখানে ছবি। ঘুমোতে গেলে দেখবেন ওনার ছবি। উনি দেশের প্রধানমন্ত্রী না, প্রচারমন্ত্রী। প্রচারমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন।’’
‘‘তৃণমূলকে হারানোর ক্ষমতা বিজেপির নেই। কারণ, মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের সরানোর ক্ষমতা নেই তোমাদের।’’
নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘গদ্দার বলি ওকে, নামটাও মুখে আনতে ঘেন্না হয়।’’
‘‘কাকের রায় কা-কা ই হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে বলছে। চুরি করে টাকা ফেরত দেবে? মনখারাপ করবেন না। হতাশ হবেন না। আপনাদের সঙ্গে থাকব। এই রায় বেআইনি রায়। আমি জাজের কথা বলব না। রায়টা একতরফা হয়েছে। বিজেপির কথায় হয়েছে।’’ এসএসসি মামলায় রায় নিয়ে মন্তব্য করলেন মমতা।
‘‘প্রত্যেক দিন কাগজে মিথ্যা কথা বলছে। আমাকেই সহ্য করতে পারে না, ওনার নাকি এখন মহিলা ভোট চাই!’’ মোদীকে আক্রমণে মমতা।
‘‘মিছিলে লোক পাচ্ছে না, আপনাদের ডাকছে। টাকা দিলে নিয়ে নেবেন। কারণ, ওটা চুরির টাকা, পাপের টাকা। আমি মনে করি, নেওয়া উচিত না। কিন্তু আপনার মনে হলে টাকাটা নিন। কিন্তু ভোটের দিন ওদের গেঁথে দিন। মানে ভোটটা তৃণমূলে দিন।’’
‘‘বলেছিল, ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেবে। দিয়েছে? বিজেপিকে হারাতে হবে তো! আর কংগ্রেস-সিপিএম বিজেপির দুটো চোখ। তৃণমূলের ভোট কাটা ওদের কাজ।’’
‘‘একটা কোটিপতির ভোটের দাম যা, একটা বিড়ি শ্রমিকের ভোটেরও তাই দাম। সবাই ভোটটা দিন।’’