—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পাওনাদারদের চাপে কিছু দিন এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এলাকায় ফিরতেই ফের চাপ শুরু হয় পাওনাদারদের। অভিযোগ, ঋণ মেটাতে মায়ের কাছে টাকা দাবি করেছিলেন ছেলে। না দেওয়ায় মাকে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রাইধনী মাঝি। বয়স ৫৭ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার বালিওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের টুঙ্গি ঘোষপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাইধনীর দুই ছেলে। ছোট ছেলে কৃষ্ণ মাঝি অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পাওনাদারেরা সেই টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তাঁকে। ঋণ মেটানোর জন্য মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিলেন কৃষ্ণ। মা দিতে অস্বীকার করলে ছেলের সঙ্গে গন্ডগোল বাধে। অভিযোগ, সেই সময়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকে কোপাতে থাকেন তিনি।
রাইধনীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। মেঝেতে পড়ে রয়েছেন রাইধনী। স্থানীয়েরা নওদা থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নওদা থানার পুলিশ। রাইধনীকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।