বাইরন বিশ্বাসের বাবা বাবর বিশ্বাস। —নিজস্ব চিত্র।
তখনও বিধায়কের বাড়ি, কারখানা, স্কুল ও হাসপাতালে তল্লাশি অভিযান চলছে। বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন আয়কর দফতরের কর্তারা। এমন সময় আচমকাই বাইরে বেরিয়ে এসে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের পিতা। জানালেন, কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের ব্যবহারে তিনি কতটা আপ্লুত! সে কথা বলতে গিয়ে কেঁদেও ফেললেন বাইরনের বাবা বাবর বিশ্বাস।
বুধবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাইরনের শমসেরগঞ্জের বাড়িতে। বাড়ি ছাড়াও আয়কর আধিকারিকদের কয়েক জন যান বিধায়কের বিড়ি কারখানা, স্কুল ও হাসপাতালে। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন বিধায়কের পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আয়কর আধিকারিকদের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা গেল বাবরকে। তিনি বাইরে বেরোতেই তাঁকে আয়কর আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সেই সময়েই কেঁদে ফেলেন বাইরনের বাবা। তিনি দাবি করেন, আয়কর আধিকারিকদের কেউ কেউ তাঁকে নিজের বাবার মতো মনে করে সম্মান দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বড় মাপের এক জন অফিসার আমায় বলেছে, ‘আপনি আমার বাবার মতো। আমার খুব ভাল লেগেছে।’’
বাবরের আরও দাবি, তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে অনেক কথা বলেছেন আয়কর আধিকারিকেরা। এলাকার গরিব মানুষের উন্নতিসাধনে তাঁদের যা অবদান, তার প্রশংসাও করেছেন তাঁরা। বাবর বলেন, ‘‘আয়করের কর্তারা আমাকে বলেছেন, ‘আমরা জানি, আপনি খুব ভাল লোক। আপনি খুব দয়ালু লোক। গরিব মানুষের জন্য ভাল কাজ করেছেন আপনারা। আপনার স্কুলে অনেক গরিব ছেলে ফ্রি-তে পড়াশোনা করে। গরিব মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করান আপনারা।’’