সোমবার রাত থেকে বার বার বোমাবাজি এবং গুলি চলানোর অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।
শীর্ষ নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও থামছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামছে না। মুর্শিদাবাদের আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল এলাকায়। তীব্র উত্তেজনা ছড়াল জলঙ্গি ব্লকের সাধিখারদিয়ার অঞ্চলে। সোমবার রাতে দফায় দফায় বোমাবাজি-গুলিবর্ষণের কারণে সন্ত্রস্ত এলাকাবাসী। তবে এই ঘটনার দায় নিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয়দের দাবি, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে শাসক দলের দুটি গোষ্ঠী। তার একদিকে রয়েছেন বিধায়ক আব্দুর রজ্জাক। অন্য দিকে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রকিবুল ইসলাম। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে নছেরপাড়া এলাকায় কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছিল। সোমবার রাতে তা ভয়াবহ চেহারা নেয়।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাত ৯টা নাগাদ। গভীর রাতে মুর্শিদাবাদ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতির ছায়াসঙ্গী আব্দুল কাইফ ওরফে লালনের বাড়ির চারপাশে ১০ থেকে ১২টি মোটরবাইকে বেশ কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির আনাগোনা দেখা যায়। লালনের পরিবার মারফত খবর পেয়ে জলঙ্গি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে পুলিশ পৌঁছতেই গা ঢাকা দেন ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। অভিযোগ, লালনের বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে রাত ১২টা নাগাদ বিকট শব্দ হয়। তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়কের অনুগামী বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতা তাঁদের বাড়ির লক্ষ্য করে বোমা ছোড়েন।
লালনের মা ফিরোজা বিবি বলেন, ‘‘আমার ছেলে রকিবুল ইসলামের সঙ্গে থাকে। ওকে দলে নিতে এমএলএ সাহেব বারবার ভয় দেখাত। এমনকি, প্রাণে মারার হুমকি এসেছে। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের বাড়ি থেকে প্রার্থী হতে পারেন, এই ভেবে আমার ছেলেকে খুন করার চেষ্টা চলছে। আমি এমএলএ সাহেবের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েক জন নেতাকে আমি চিনতেও পেরেছি।’’
তবে জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রজ্জাক বলেন, “এখানে একটা গন্ডগোল হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু কোথাও ঝামেলা হলেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব টানা ঠিক নয়।” মুর্শিদাবাদ জেলা যুব তৃণমূলে সভাপতি রকিবুল বলেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’