—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর আর বাড়ি ফেরেননি। এক দিন পর সেই যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গেল একটি ধানক্ষেতের মধ্যে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, এটি ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা। যদিও ধর্ষণের ‘তত্ত্ব’ এখনই মানতে নারাজ পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
কয়েক বছর আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল ২৫ বছরের ওই যুবতীর। তবে বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে এক জায়গায় থাকতেন না তিনি। বৈবাহিক অশান্তির জেরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে আলাদা হয়ে যান। দম্পতির এক সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার মা অসুস্থ। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না যুবতীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর দেহ দেখতে পান কান্দির একটি ধানজমিতে। জানা গিয়েছে, বহরমপুর-সুলতানপুর রাজ্য সড়কের পাশে কান্দির মনোহরপুর গ্রামের কাছে একটি ধানের জমিতে পড়েছিল দেহটি। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
মৃতার আত্মীয়দের অভিযোগ, অন্ধকার রাস্তা এবং নির্জনতার সুযোগ নিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। নির্যাতিতার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন। তবে পুলিশ এখনই ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে কিছু বলতে রাজি নয়। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে তবেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। খুন না কি দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যে এক যুবককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, যে যুবককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল মৃতার। মুর্শিদাবাদের পুলিশ জেলার সুপার সূর্য প্রতাপ যাদব বলেন, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’